
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতাঃ১২ ডিসেম্বর
আগামীকাল মানিকগঞ্জ গানাদার মুক্ত দিবস।১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলা হানাদার মুক্ত দিবস।৭১ সালের এইদিন পাক বাহিনী মানিকগঞ্জের মাটি ছেড়ে ঢাকার অভিমুখ পালিয়ে যায়।পরের দিন সকালে ১৪ ডিসেম্বর সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে উত্তোলন করা লাল-সবুজরে পতাকা। প্রতিবছর মানিকগঞ্জবাসী এই দিনটিকে হানাদার মুক্ত দিবস হিসাবে পালন করে থাকেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় রাতে ক্্রাক-ডাউনের খবরের পর মানিকগঞ্জের তৎকালীন অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বিপ্লবী পরিষদ গঠন করা হয়।২৫শে মার্চের রাতেই মানিকগঞ্জর চ্রেজারীতে রক্ষিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে ছাত্র ও যুবকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।পর দিন থেকে বান্দুটিয়া আব্দুল হালিম চৌধুরীর কোল্ডস্টোরের পিছনে শুরু হয় অস্ত্র প্রক্ষিন।এপ্রিল মাসের দ্বিতৃয় সাপ্তাহে হেলিকপ্টার করে বিপুল সংখ্যক পাক সেনা মানিকগঞ্জ শহরে ঢুকে পরে।পাক সেনাদের শহরে অবস্থানের পর মানিকগঞ্জের বিপ্লবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ হরিরামপুর উপজেলার চরাঞ্চলে অবস্থান নেয়।সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে মানিকগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে হামলা করার শক্তি অর্জন করে।
পাকবাহীরি সাথে মুক্তিবাহীন মধ্যে সিংগাইরের গোলাইডাঙ্গায় যুদ্ধ হয়।এ সম্মূখ যুদ্ধে ৮১ জন পাকসৈন্য মারা যায়।পরের দিন পাকবাহিনী হেলিকপ্টরে করে আরও সৈন্য বৃদ্ধি করে গোলাইডাঙ্গা গ্রামে হামলা চালিয়ে কয়েকশ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়।গুলি করে ৮জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে।
দীর্ঘ ৯ মাসের এই মুক্তিযুদ্ধের মানিকগঞ্জে শহীদ হন ৫৮ জন ও আহত হন ৪০ মুক্তিযোদ্ধা এবং হত্যা করা হয় প্রায় ৭ হাজার নিরীহ মানুষকে।