শাহীন তারেক, মানিকগঞ্জ ,৭ সেস্টেম্বর
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ইছামতী, ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

নদী গর্ভে বিলীনের আশংকা শতবছরের ঘিওর গরুর হাট।হুমকির মধ্যে রয়েছে কুস্তা ব্রিজ, ঘিওর- গোলাপনগরের রাস্তা,রসুলপুর গ্রাম,কুস্তা কবরস্থান,গরু বিক্রয়ের হাসিলঘরসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।দ্রুত ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা না নিলে ঘিওর গরুর হাট,কোস্তাকবরস্থান,সরকারি গোদাম সংলঘœ ব্রীজটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যওয়ার আশংকা রয়েছে।ভাঙ্গন আতংকে অনেক ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের মালামাল সড়িয়ে অন্যত্র সড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ঘিওর হাটের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ব্যাবসায়ী মীর মানিকুজ্জামন মানিক জানান,গত দুই দিন ধরে ইছমতি নদীর পানির বৃদ্ধির ফলে তীরবর্তী ঘিওর গরুর হাট ও পাকা রাস্তার একাংশ নদী গর্ভে চলে গেছে।এখন শুধু গরু হাটের হাসিল ঘরটি টিকে আছে তাও যেকোন সময় ভাঙ্গতে পারে।এছাড়া গরু হাট সংলঘœ নদীর উপর জেলা পরিষদের ব্রীজটিও হুমকির মূখে রয়েছে।ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তিনি।
কোস্তা গ্রামের টিপু জানান,কোস্তা কবরস্থানের পূর্বাংশ ভাঙ্গন শুরু হয়ে।ভাঙ্গন রোধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে গরু হাটের মত কোস্তাকবরস্থানটিও বিলীন হয়ে যাবে।ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন করেন তিনি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল আজিম জানান,ঘিওর হাটের মত ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে ঘিওর পূর্বপাড়া গ্রাম, ঘিওর নদীর উত্তর পারের বাজার এবং ব্রিজসহ ১২-১৩ টি প্রতিষ্ঠান হুমকির মধ্যে রয়েছে।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাট রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *