সিংগাইর ( মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি :

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল মেশিনটি বিগত প্রায় ৪ বছর ধরে নষ্ট। ডেন্টাল সার্জন থাকার পরও মেশিনটি নষ্ট থাকায় দাঁতের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে ফিরছেন বহি:বিভাগে আগত রোগী সাধারণ ।
উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । দাঁতের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে দরিদ্র রোগীরা সরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন । কিন্তু ডেন্টাল মেশিনটি নষ্ট থাকায় চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে । ফলে,বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হচ্ছেন । এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দন্ত রোগী সাধারণ । এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত থাকলেও দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোনো সুরাহা মিলছে না ।
সরেজমিন রোববার ( ২০ অক্টোবর) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২০ সালের শেষের দিকে ডেন্টাল ইউনিটে মেশিনটি স্থাপন করা হয়। এর তিন মাস না যেতেই টেম্পার নষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক সার্কিট জ্বলে যায়। তারপর থেকে অদ্যবধি মেশিনটি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে । ইতিপূর্বে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার মেশিনটির উপকরণ চাহিদাপত্র দেয়া হলেও নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। মাত্র ৮/১০ হাজার টাকা হলেই মেশিনটি চালু করা যায়। হাসপাতাল কর্তাব্যক্তিদের গাফলতির কারণে ভালো করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহি:র্বিভাগে প্রতিদিন ৩০/৩৫ জন রোগী আসেন দন্ত চিকিৎসা সেবা নিতে । শুধুমাত্র দাঁত তোলা ও পরামর্শ নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। ফলে, বিপাকে পড়েছেন দন্ত রোগীরা,বঞ্চিত হচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে।

ডেন্টাল ইউনিটের সার্জন ডা. দুলালী সাহা বলেন,আমি এ হাসপাতালে যোগদান করেছি প্রায় দু’বছর। শুনেছি আরো আগে থেকে ডেন্টাল মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। দাঁতের চিকিৎসা সার্জারী নির্ভর হওয়াতে পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা দিতে গেলে যন্ত্রপাতি, ম্যাটেরিয়ালস এর সাথে জীবানুমুক্ত করার সবকিছু থাকতে হবে। অন্যথায় অপারেটিভ ট্রিটমেন্টগুলো দেয়া সম্ভব হয় না। শুধুমাত্র ওষুধ লিখে দিয়ে যা যা করা যায়।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সৈয়দা তাসনুভা মারিয়া বলেন,মেশিনটির বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ডেন্টাল কাউন্সিলে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে । এটা মেরামতে প্রথমে ১০ হাজার টাকার কথা শুনালেও পরক্ষণেই বলেন,পুরোপুরি সার্ভিস দেয়া যাচ্ছে না বিশাল সমস্যায় আছি। মেশিনটি ভাল করতে ১ লাখ টাকার কমে হবে না । কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো অব্যাহত থাকবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *