মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ৩০ ডিসেম্বর
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন করোনার টিকার পাশাপাশি আজ থেকে দেশে বাজারজাত শুরু হয়েছে করোনা আক্রান্তদের জন্য আমেরিকার তৈরী দুটি ওষুধ নিরমা ট্টেলভির ও রেটিনোভি। একটি ডোজের দাম হবে তিন হাজার টাকা। পাঁচদিন খেতে হবে। মোট ৩০টি ট্যাবলেটের দাম হবে ১৬ হাজার টাকা। ওষুধের বাজারজাত করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল লিমিট্রেড।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ হিজুলী ডায়াবেটিক হাসপাতালে বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, আমার ভ্যাকসিন দিচ্ছি। বুষ্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
আমাদের দেশের সংক্রমন এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের সর্তক থাকতে হবে। বিভিন্ন দেশে লকডাউন দিচ্ছে। আমরা ৩১ কোটি ভ্যাকসিনের প্রতিশ্রæতি পেয়েছি যার মধ্যে ক্রয়ও যুক্ত আছে। এর মধ্যে প্রায় ১৭ কোটি ভ্যাকসিন আমাদের হাতে চলে এসেছে। ৭ কোটি ভ্যাসকিন প্রথম ডোজ ও ৫ কোটি ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। আমরা এবার থেকে জানুয়ারী মাস থেকে নতুন উদ্যোগে ভ্যাসকিন কার্যক্রম চালু করছি। ভ্যাসসিনটাকে প্রতিটি ওয়ার্ডে দেওয়া হবে। আমাদের দেশে ১৫ হাজার ওয়ার্ডে ২৮ হাজার বুথে ২০২২ সাল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যাতে আমরা ৪ কোটি ভ্যাকসিন দিতে পারবো। আমাদের ভ্যাকসিনের কোন অভার নেই। সংক্রমন ও মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে আমাদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য আমেরিকার তৈরী ওষুধ আমাদের দেশে বাজারজাত করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১২ বছরে উর্দ্ধে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই ওষুধ সেবন করতে পারবেন। এটা আমাদের দেশের মাইল ফলক করোনা চিকিৎসার জন্য। এই ট্যাবলেটের কার্যকর ৮৮ ভাগ বলে জানা গেছে। করোনার জন্য বিশে^র যে কোন দেশে নতুন ওষুধ বের হয় তা আমরা দ্রæত দেশে নিয়ে আসি মানুষের জন্য।
ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন ছাড়াও বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, পৌর মেয়র রমজান আলী, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব সাহা, ডায়াবেটিক সমিতির সহসভপতি নীনা রহমান প্রমূখ।
বার্ষিক সাধারণ সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে ৫০ ভাগ ও আজীবন সদস্যদের জন্য ২০ ভাগ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব পাশ হয়।