মানিকগঞ্জ. ২৮ ডিসেম্বর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,আওয়ামীলীগ সরকারের সময় শেষ হয়ে আসছে।এ অবৈধ সরকার জনগনদেখে ভয় পায়। সরকারি বাহীনি দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। জনগন বিহীন এই সরকার গনতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য  খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এখনো তিনি হাসপাতালের জীবন মৃত্যুর সন্ধিঃক্ষণে রয়েছেন। সারা দেশের মানুষের দাবি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎস্ধাসঢ়;র জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিš‘ এসব দাবি সরকারের কানে যায়না। যদি খালেদা জিয়ার কোন কিছু ঘটে তবে এর দায়
সরকারকে নিতে হবে।দীর্ঘ দিন পর জেলা বিএনপির এ সমাবেশ হওয়ায় ।হাজার হাজর নেতা কর্মীরা সকাল থেকেই সমাবেশে আসতে শুরু করে।কানায় কানায় ভড়ে যায় সভা¯’ল।

গতকাল মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবীতে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উ”চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহŸায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, সিনিয়র যুগ্ন-সধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন,সাংগঠনিক সম্পাদক আ,ফ,ম নূরতাজ আলম বাহার,গোলাম আবেদীন কায়ছার, প্রমূখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেছেন, রাষ্ট্রপ্রতি এখন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের জন্য ডাকা ডাকা শুরু করে দিয়েছেন।তিনি এই সংলাপকে অর্থহীন বলে উল্লেখ্য করেন। এই সংলাপ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতেnপারবে না। হাসিনা সরক্ধাসঢ়;র ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না। এই সরকারের পদত্যাগসহ তিনি নিরপেক্ষ নির্বাচনে দাবি করেন। তিনি আরো বলেন এই সরকার দেশের সকল সুন্দর জিনিস ধ্বংশ করে দিয়েছে। গণতন্ত্র বিচার বিভাগসহ প্রশাসনিক ব্যব¯’া ধ্বংশ করে
দিয়েছে। গুম খুন হত্যা অপহরণ এই সমন্ত অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বিশে^র বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ দেশের বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন এই সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দেওয়ার কথা বলে ক্ষতায় এসেছে। এখন দেশে চালের দাম ৭০ টাকা । ঘরে ঘরে চাকুরির কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন চাকুরির জন্য লক্ষ লক্ষ
টাকা গুনতে হ”েছ চাকুরি প্রার্থীদের । মির্জা ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, বাংলার জনগণকে বোকা
ভাববে না, ২০১৮ সালে নির্বাচনে আগের রাতে ভোট দখল করে নিয়ে গেছে। পরে দিন জনগন ভোট দিতে পারেনি। ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্ব›দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তখন ও একটি সংলাপ করেছিলো। এখন আবার সংলাপের জন্য ডাকাডাকি করছে রাষ্ট্রপ্রতি। এই সংলাপ অর্থহীন। গণতন্ত্রের সমস্যার সমাধান হবে না। জনগনের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে না। নির্বাচন কমিশনের সমস্যা নয়, সমস্যা হ”েছ সরকারের। নির্বাচন কালিন সময়ে সরকারটা কে থাকবে। সেটা কি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, না হাসিনার সরকার থাকবে। যদি হাসিনার সরকার থাকে তাহলে ভোটও নিরপেক্ষ হবে না। দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার ও মুক্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম । দেশের আইন আছে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর। তাকে বিদেশে পাঠানো অত্যন্ত জরুরী। কিš‘ সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দি”েছন না। সরকার তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দি”েছন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন,এদেশে এখন বরগিও শাসন চলেছে। কেউ তাদের হাত থেকে নিরাপদে নাই। এ সরকার হ”েছ রহিঙ্গা সরকার।রহিঙ্গাদের যেমন ভোটাধিকার নেই তেমনি এ সরাকের ভোট লাগে না।ভোটার আইডি বিহীন রহিঙ্গা ভোটা বিহীন এ সরকার কোন পার্থক্য নাই।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহŸায়ক আব্দুস সালাম বলেন আওয়ামীলীগ সরকারকে বিদায় করতে হবে। আর বেশি দিন সময় দেওয়া যায়না। আমার মা আজকে জেলে।আমার মা আজ হাসপাতালে শুয়ে মুত্যুর যন্ত্রনায়
কাতরা”েছ। খালেদা জিলাকে সুচিকিৎসা দি”েছ না ।কারন খালেদা জিয়াকে ভয় পায়।তিনি অবিলম্বের খালেদার জিয়ার মুক্তি দাবী জানান।

সমাবেশকে ঘিরে বেলা ১১টা থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিএনপির নেতা কর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সভা ¯’লে আসতে শুরু করে।সভা শুরুর আগেই কানায় কানায় ভরে যায় সমাবেশ।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য শুরু হলে বিজয় মেলা মাঠ ও আশ পাশের রাস্তায় লোকে লোকারন্য হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *