মানিকগঞ্জ-২৬-০৫-২০২৩ ঃ
দেশ,গনতন্ত্র ও জনগনকে
রক্ষা করার গনতান্ত্রিক অধিকারকে বাধা দিলে আওয়ামীলীগকে প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস।
আজ শুক্রবার বিকালে মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার বিজয় নগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি ও ১০ দফা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় মির্জা আব্বাস উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। মির্জা আব্বাস বলেন,ভোট চোর ,নিশিরাতের এ অবৈধ সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে।তারা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা সহ বিভিন্ন বাহিনী ব্যবহার করে মানুষে অধিকারের কথা বলতে দিচ্ছে না।এরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করার কারনেই দেশ আজ দেওলিয়া হতে চলছে।জনগন বিল দেয় কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎ পায় না।অথচ কুইক রেন্টাল পাওয়ার করে কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে।আমরা কোথাও জনগনের কথা বলতে গেলেই তারা প্রতিহত করতে আসে। আজও তারা ঢাকায় ও খাগড়াছড়িতে আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করেছে।আমরা জনগনের কথা বলতে গেলেই ,সমাবেশ করতে গেলেই তারা পাল্টা শান্তি সমাবেশ ডাকে।ওবায়দুল কাদের বলেছে,এখন থেকে আমার আর শান্তি সমাবেশ করবো না ,অশান্তি সমাবেশ করবো।আবার পরেই বললেন প্রতিরোধ সমাবেশ করবো।মির্জা আব্বাস বলেন এবার আর
কোন ছাড় দেয়া হবে না,আমার তাদের অপকর্মকে হতিহত করবো। তিনি বলেন,এ চোর সরকারের লুটপাটের কারনে মাথাপিছু দেনা প্রায় ১ লক্ষ টাকা।আমাদের ৩৫ লক্ষ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।পুরো দেশটাকেই জেলখানা বানানো হয়েছে।আওয়ামীলীগের চোখ রাঙ্গানি আর জনগন সহ্য করবে না।বাংলাদেশের গনমানুষে নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু হতে ফেলে দিতে চান,তারা বস্তুায় ভরে ফেলে দিতে চান ,এগুলো কি হত্যার হুমকি না আসলে তারা সামনে তাদের নিশ্চিত পতন আন্দাজ করেই আবোল-তাবোল বলতে শুরু করেছে।জ্বর আসলে যেমন মানুষ আবোল-তাবোল বলে ঠিক
তেমনি আওয়ামীলীগের পতন জ্বর এসেছে।তিনি বলেন,তাদের নেতা ,মন্ত্রী কামাল মজুমদারই বলেছে ,এ সরকারের পতন ছাড়া দেশের মানুষের মুক্তি উপায় নেই।আওয়ামীলীগের অধিনে বিএনপি কোন নির্বাচনেই যাবে না।তত্ত¡াবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন হলেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে আফরোজা খান রিতা বলেন,এই দূর্নীতিবাজ,জুলুমবাজ,জনবিচ্ছিন্ন ,গনবিরোধী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনই দেশ ও মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ।সামনের যে কোন আন্দোলন-সংগ্রামে রাজধানী ঢাকার পাশের জেলা হিসাবে এবং
বিএনপির ঘাটি হিসাবে পরিচিত মানিকগঞ্জ জেলা অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।তিনি নেতা-কর্মীদের যে কোন ত্যাগ স্বীকারের জন্যে প্রস্তুত থাকলে বলেন।
বেলা আড়াইটায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও মূল সমাবেশ শুরু বিকাল সড়ে ৪টায় শুরু হয়ে বিকাল সোয়া ৬টায় শেষ হয়।তবে জুম্মার নামাজের পর হতেই প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী দিয়ে মাঠ ভরে যায়। প্রথমেজেলা শহরে পার্টি অফিসে এবং পরে শহরের মডেল স্কুল মাঠে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশি বাধায় সমাবেশ করা সম্ভব হয়নি
বলে জানায় দলীয় সূত্র।
জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এস এ জিন্না কবীরের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন,ঢাকা বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড,আব্দুস সালাম আজাদ,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহম্মেদ টিটো,জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাড,আজাদ হোসেন খান,সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বারের সাধারন সম্পাদক অ্যাড,নুরতাজ আলম বাহার,গোলাম আবেদীন কায়সার,বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া সাঈদ, জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক
আহম্মেদ দিপু ও সদস্য সচিব মোঃ তুহিনুর রহমান,সেস্বাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ জিন্না খান জিন্না ও সদস্য সচিব এড,রাকিব হোসেন,শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ আব্দুল কাদের,মহিলা দলের সভাপতি সাবিহা হাবিব,ছ্ধাসঢ়;ত্র দলের সভাপতি আঃ খালেক শুভ ও সাধারন সম্পাদক
সিরাজূর রহমান সজিব প্রমুখ।