মানিকগঞ্,জ ১৩ সেস্টেম্বর
মানিকগঞ্জেরঘিওরে ইছামতি নদীর অব্যাহত ভাঙনের কারনে মাটি ধসে ডেবে গেছে ঘিওর হাটের কুস্তা বেইলী ব্রীজ।ফলে ঝুঁকিপূর্ন ব্রীজ দিতে ছোট বড় সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে কর্তৃপক্ষ।ব্রীজ বন্ধ করে দেওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। দ্রæত ব্যাবস্থা না নিলে বেইলী ব্রীজটি নদীতে ভেঙে যাওয়ার আশংখা রয়েছে।
ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাৎক্ষনিক ভাবে জিওব্যাগ ফেলছে।তবে স্থানীয়দের অভিযোগ প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।তাও আবার বালুর পরিবর্তে জিওব্যাগে বালুর সাথে দেওয়া হচ্ছে মাটি ।
জানা গেছে, গত এক সাপ্তাহ ধরে ইছামতি নদীর তীরবর্তী ঘিওর উপজেলার গরুর হাট,কোস্তা সরকারী খাদ্য গোদাম সংলঘœ বেইলী ব্রীজ,কুস্তা গরুর হাট ব্রীজ ও কবরস্থান এলাকায় তীব্র ভাঙন শরু হয়।ইতিমধ্যে ভাঙনে গরু হাটের পশ্চিশাংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।হুমকির মূখে পড়ে দুইটি ব্রীজসহ আশ পাশের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও ৩০টি বসত বাড়ীঘর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,অব্যাহত ভাঙনের ফলে কুস্তা সরকরি খাদ্য গোদাম সংলঘœ বেইলী ব্রীজের পূর্ব পাশের মাটি ধসে ডেবে গেছে ব্রীজটি।ফলে ছোট বড় সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় মনিরুজ্জান মানিক জানান,গত এক সাপ্তাহ ধরে ঘিওর হাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়।ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোডের কর্তৃপক্ষ গরুর হাট এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা শুরু করেছে।কিন্ত হাটের আশ পাশের ভাঙন কবলিত এলাকায় ভাঙনরোধে তেমন কোন ব্যাবস্থা চোখে পড়েনি।দ্রæত ব্যাবস্থা নিলে কুস্তা বেইলী ব্রীজটির মাটি ধসে যেতোনা। দ্রæত সময়ের মধ্যে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করার দাবী জানান তিনি।
কুস্তা গ্রামের রতন মিয়া জানান, কুস্তা বেইলী ব্রীজের দুপাশের মাটি ধসে যাওয়ায় সোমবার বিকেল থেকে চলাচল বন্ধ রয়েছে।এতে আমাদের উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে কষ্টকর হয়ে পড়েছে।তাড়াতাড়ি ব্রীজটি যানচলাচেলর উপযোগী করে তুলতে সরকারের কাছে জোড় দাবী জানান তিনি।