স্টাফ রিপোর্টার : সাভারের আশুলিয়ায় চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, ঝুট বানিজ্য নিয়ন্ত্রনের হোতা আওয়ামী লীগ নেতা সুমন আহমেদ ভূইয়া ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। আগামী ২৯ডিসেম্বর এই ইউনিয়নে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।আশুলিয়া থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন আহমেদ ভূইয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে না পারলেও গোপনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেকেই।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্র থেকে জানাগেছে, ২০১৮সালের জুলাই মাসে জামগড়া গফুর মন্ডল স্কুল সংলগ্ন পরিবহন চালক জাহিদ হাসানের ছয় শতাংশ জমির উপর টিনশেট বাড়িটি দখলের জন্য সুমন ভূইয়া ও রুবেল ভূইয়ার নেতৃত্বে কয়েক দফা হামলা চালানো হয়। ২০১৯সালের সেপ্টেম্বর আশুলিয়ার বেরন ৬তলা এলাকায় সংখ্যালঘু ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকারের পৈত্রিক বসতবাড়ি দখলের উদ্দেশ্য হামলা চালিয়ে দোকানপাট, স্থাপনা ও সাইনবোর্ড ভাংচুর করে সুমন ভুইয়া ও তার সহযোগীরা। ওই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। এরআগে ২০১০ সালে বেরন গ্রামের আতা মোল্লার ছেলে মো: কামালকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে সুমন ভূইয়ার বিরুদ্ধে।
আশুলিয়ার বেরণ এলাকা থেকে বিদেশী রিভলবার ও একটি পিস্তলসহ সুমন ভূঁইয়াসহ ৬জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। তখন সুমন ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের জামগড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকারী আওয়ামী লীগ নেতা সুমন ভূইয়া ইয়ারপুর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
সুমন ভূইয়ার রোষানলে পরে সর্বশান্ত হয়েছেন যুবলীগ কর্মী রিপন মিয়া ও তার পরিবার। ডিস ব্যবসায়ী রিপন মিয়া এক সময় যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও সুমন ও তার সহযোগীদের নামে মামলা দায়ের করে এলাকা ছাড়তে হয়েছে রিপনকে। রিপন মিয়ার ডিসের সব ব্যবসাও দখলে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন আহমেদ ভূইয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।