শাহীন তারেক.মানিকগঞ্জ২৭ ডিসেম্বর
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না কারায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়নের উত্তর জামসা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাস করা মানুষ চরম দুভোর্গের মধ্যে জীবনযাপন করছে।
জানা যায়, ২০০৩ সালে বসতভিটা হারানো ভ‚মিহীনদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সরকার জামশা ইউনিয়নের উত্তর জামশা এলাকায় দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ৬০টি ঘর নির্মাণ করে।বর্তমানে প্রকল্পের ঘরের টিনের চালে মরচে ধরে কিছু কিছু ¯’ানে ছিদ্র হয়েছে গেছে। কুয়াশা ও বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষায় ঘরের ভেতরে টাঙানো হয়েছে পলিথিন ও ত্রিপল। বেড়ার টিন, কাঠ, স্টিলের দরজা ও জানালারও ভেেেঙ গেছে। এ এ াড়া গত তিন বছর আগে ৬০টি ঘরের মধ্যে ১০টি ঘর আগুনে পুড়ে যায়।এতে ঘরগুলোতে থাকার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।নিরুপায় হয়ে জরাজীর্ণ ঘরেই বাস করছে সিংগাইরের জামসা ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৬০টি পরিবার।
আশ্রয়ণের কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরেরই জরাজীর্ণ অব¯’া। চালের টিনে মরচে ধরে বিভিন্ন ¯’ানে ফুটো হয়ে গেছে। এতে ঘরের ভেতর বৃষ্টির পানি পড়ে। বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষা পেতে প্রায় প্রতিটি ঘরের চালে টাঙানো হয়েছে পলিথিন। ঘরের বেড়ার টিন মরিচা ধরে ভেঙে পড়ছে। টিনের দরজা ও জানালারও একই অব¯’া। আশ্রয়ণের নলক‚প ও শৌচাগারের অব¯’াও খারাপ।
উত্তর জামশা আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা ঝর্না আক্তার বলেন, ঘরের চালের টিনগুলো জায়গায় জায়গায় ছিদ্র হয়ে গেছে।ছিদ্র দিয়ে ঘরের ভেতরে বৃষ্টির পানি পড়ে। পলিথিন টানাইছি, তাতেও কাজ হয় না। রাতের বেলা বৃষ্টি অইলে বসে জেগে থাকতে হয়। বর্তমানে ছেলে সন্তান নিয়ে কষ্টে আছি।সরকার যদি ঘর সাইরা দিতো তাহলে ভালবারে ঘুমাইতে পারতাম।
ডালিয়া আক্তার বলেন,আমরা এক সাথে দশটি পরিবার থাকতাম।তিন বছর আগে আমাগো থাকার ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। এখন আমরা অন্যের ঘরে থাকি। ছেলে সন্তান নিয়ে কষ্টে আছি।দেখার কেউ নেই।তিনি বলেন আমার মতো মহন,পুষ্পি,আক্তার হোসেন,আবুল কালাম আজাদ,হাসেম,প্রদীপ,খোশেদ আলম,আওয়াল ও চঞ্চলের একই আব¯’া।

নূরজাহান আক্তার নামে এক বাসিন্দা বলেন, ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছোট একটি ঘরে থাকি। আমাদের অনেক কষ্ট হয়। ভয়ে থাকি- ভাঙাচোরা ঘর কখন যেন ভেঙে পড়ে। চাল ও বেড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চট ও বস্তা দিয়ে কোনোরকমে থাকার ব্যব¯’া করেছি। অনেকেই এসেছে- ঠিক করে দেওয়ার কথা বলেছে। কিš‘ কিছুই হলো না।

জামশা এলাকার যোবায়ের হোসেন জানান, আশ্রয়নের ঘরের বেড়া, দরজা-জানালাও ভেঙে গেছে। ঘরের চালায় পলিথিন দিয়ে কোন রকম বসবাস করে আসছেন আশ্রয়ণের বাসিন্দারা। গোসলখানা, টয়লেট ও টিউবওয়েলগুলোরও বেহাল দশা। প্রায় তিন বছর আগে আগুন লেগে পুড়ে যায় ১০টি ঘর। অন্যত্র সরে যাওয়ার কোনো সুযোগ না থাকায় বাধ্য হয়েই ভাঙাচোরা ঘরে বসবাস করছেন ওই ১০ পরিবারের বাসিন্দারা।এখান ছেলে মেয়া লেখা পড়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছে। মানুষের কষ্টে লাগবে দ্রæত মেরামতের দাবী জানান তিনি।

জামাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামান ইনকিলাবকে জানান,উত্তর জামশা আশ্রয়ন প্রকল্পের বসবাসরত পরিবারগুলো খুব কষ্টে জীবনযাপন করছে।সংস্কার না করায় ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। সামন্য বৃষ্টি হলে চাল দিয়ে ভিতরে পানি পড়ে।চেয়ারম্যান বলেন,আমি সিংগাইর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করবো। প্রয়োজনে নির্বাহী কর্মর্তাকে সরেজমিনে পরিদর্শন করাবো।যাতে করে নতুন কোন প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রæত সংস্কার করার ব্যব¯’ করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *