
শাহীন তারেক,মানিকগঞ্জ ঃ ১৮ ডিসেম্বর
বুস্টার ডোজের টিকার প্রদান সম্পর্কে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন রোববার থেকে ঢাকার মহাখালি উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিসিপিএস) পরীক্ষা মূলকভাবে শতাধিক মানুষকে করোনা ভাইরাসের বুস্টার ডোজের টিকার ট্রায়াল দেয়া হবে ।
ফাইজারের টিকাটা বুস্টার ডোজ হিসেবে শুরু করা হবে। এটাই ডাবিøউএইচও অনুমোদন দিয়েছেন। এই কার্যক্রম বেশ কয়েক দিন চলমান থাকবে। সম্মুখ সারির পাশাপাশি ছয় মাসে থেকে ৯ মাস আগে যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের বুস্টার ডোজের অগ্রাধীকার দেওয়া হবে।
গতকাল মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মন্ত্রীর নিজ এলাকা গড়পাাড়া শুভ্র সেন্টারে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র ও ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যক্তিদের মাঝে ডেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের টিকার কোন সংকট নেই। সরকারের হাতে বর্তমানে ফাইজারের ৬০ লক্ষ টিকা রয়েছে। আগামী মাসে আরো দুই কোটি টিকা আসবে । তাই টিকার কোন সংকট হবে না। ডবিøউএইচও থেকে মোট আমরা ৪ কোটির অর্ডার দিয়েছি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু টিকা পেয়েছি, আগামীতে আরও তিন কোটি পেয়ে যাব। আমাদের দেশে ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসলে ২৪ কোটি টিকার প্রয়োজন । এর মধ্যে আমরা ১৬ কোটি টিকা পেয়েগেছি।
ওমিক্রনের সচেতনতা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন খুবই সংক্রমণ করে। ওমিক্রন থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রত গতিতে ছড়িয়ে যাচ্ছে।ওমিক্রন মেকাবেলায় যা যা করনীয় আছে তা আমরা করেছি। জেলা প্রশাসন গুলোতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিদেশ থেকে যারা আসবে তাদের যেন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। যারা বিদেশ থেকে আসবে তাদের ৪৮ ঘন্টা আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। যেটা আগে ৭২ ঘন্টা ছিলো। সেটা নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া যারা সীমান্ত দিয়ে আসবে তাদের র্যাপিড এন্টিজেন্ট পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। টিকা নিলে যে কোন ভাইরাস থেকেই রক্ষা পাওয়া যায়। কাজেই টিকাটা নিয়ে নিবেন। পাশাপাশি সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পড়া, সামাজিক দুরত্ব রক্ষাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পুলিশ হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার ।
আলোচনা সভা শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক তার নিজস্ব অর্থ থেকে ২৪টি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭২ জন মেথাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করেন। এছাড়া ৯২ পরিবারকে ডেউটিন ও তিন হাজার টাকা এবং ৫ হাজার শীতার্তদের মাঝে শীতবন্ত্র বিতরণ করেন।