স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ (২৭ ফেব্রুযারি)
গত ২০ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোঃ শাহীনুর রহমান শাহীনকে বেল্ট দিয়ে পেটানোর অভিযোগে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ বাহাউদ্দিনসহ জড়িতদের অপসারন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্ত্বরে আয়োজিত ঘন্টাব্যাপী এই মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন নির্যাতিত সিনিয়র স্টাফ নার্স মোঃ শাহীনুর রহমানের ভাই- মুদিব্যবসায়ি ইমরান হোসেন হিরন, বান্দুটিয়ার মোঃ সারতাজ, কবিরুল ইসলাম, নুরে আলম, দক্ষিণ সেওতার শাহাদত হোসেন, দাশড়া এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
তাঁরা বলেন, মানিকগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোঃ শাহীনুর রহমানের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলা শহরে থাকার কারণে এলাকাবাসী তার কাছে থেকে খুব ভালো সেবা পাচ্ছেন। অন্যদিকে, হাসপাতালের ততত্ত্বাবধায়ক ডা: বাহাউদ্দিন এবং তার তৈরি করা সিন্ডিকেটের সদস্যরা নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে। এসব কারণে দীর্ঘদিন ধরে ততত্ত্বাবধায়ক ও তার সহযোগিরা মোঃ শাহীনুর রহমান শাহীনকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ততত্ত্বাবধায়ক ডা: বাহাউদ্দিন শাহীনুর রহমাকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে প্রথমে গালিগালাজ এবং একপর্যায়ে তার কোমর থেকে বেল্ট খুলে পেটাতে থাকেন। তত্ত্বাবধায়কের নির্দেশে স্টাফ নার্স সাইফুল ইসলাম তাঁর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক আউট সোর্সিং এর কর্মচারীদের ডেকে এনে তাঁকে মেরে লাশ গুম করার নির্দেশ দেন। খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ সদস্যরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে নিরর্যাতিত সিনিয়র স্টাফ নার্স মোঃ শাহীনুর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। উল্টো ওই তত্ত্বাবধায়ক তার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। তাকে নানাধরণের হুমকী-ধামকি দিচ্ছেন এবং চাকুরী থেকে স্থগিত করারও অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়েই এলাকাবাসী মানবন্ধন করতে রাস্তায় নেমেছেন বলে জানান।
তাঁরা দ্রুত অভিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. বাহাউদ্দিনসহ তার সহযোগিদের অপসারন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। এব্যাপারে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, এব্যাপারে সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং তত্ত্বাবধায়ক পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগদুটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো: হাবিল হোসেন।