অনলাইন ডেক্সঃ

আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির জন্মদিন মানেই ব্যতিক্রমী আয়োজন। এবারও তার ব্যতয় ঘটেনি। সেই জমকালো আয়োজন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।(দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত সংবাদ ২৬ অক্টোবর)

জন্মদিনের আয়োজনে রাজধানীর রেডিসন হোটেলের হলরুম সেজেছিল বিমানের আদলে লাল-সাদায়। সেখানে প্রবেশ করতেই মনে হচ্ছিল বিমানের ভেতর প্রবেশ করছি। যেখানে বোর্ডিং পাস, আসন, অ্যাপায়নসহ সবকিছুর ব্যবস্থা ছিলো।

রাত ১০টায় হলরুমে তৈরি বিমানের সিঁড়ি থেকে নেমে আসেন পরীমনি। এরপর কিছুক্ষণ চলে ফটোসেশন। এ সময় ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে বাদশার ‘বাউলা’ গান বাজতে থাকে। গানের তালে নাচতে নাচতে পরীমনি এগিয়ে যান অতিথিদের দিকে। তার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ছিল লক্ষণীয়। তার পরনে ছিলো বিশেষ কায়দায় বানানো স্কার্ট, যা তিনি লুঙ্গিতে রূপান্তর করে নেন।

জন্মদিনের আয়োজনের বেশ কিছু ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পরীমনির পোশাক, নাচসহ সব কিছু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চললে সমালোচনার ঝড়। কেউ কেউ আবার তার পক্ষেও কথা বলছেন।

এ বিষয়ে নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার সজিব চিশতি তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পরীমনি এবার জন্মদিনে যে ড্রেসটা পড়ছিলেন আমি কখনো কোন নায়িকাকে এ ধরনের জঘন্য অরুচিশীল ড্রেসে দেখি নি। টাকার গরম আর রূপের গরমে জন্মদিনে যে নিচু লেভেলের নাচানাচি করলেন এই গুলা কোন নায়িকার শোভা পায় না। শাবানা, ববিতা, রোজিনা ম্যাডামদের পরও যারা নায়িকা হয়েছেন, তারা কখনোই এ ধরনের জঘন্য কার্যকলাপ করেছেন বলে মনে হয় না। শাবনূর আপা, মৌসুমী আপা, পপি, পূর্নিমা আপারা হিট হিট সিনেমার নায়িকা, তাদের কি টাকা পয়সা ছিলো না বা এখন নাই। কই কখনো এই গুলা তো করতে দেখিনি তাদের। এরপরও যারা এসেছেন বিদ্যা সিনহা মীম, নুসরাত ফারিয়া, জান্নাতুল পিয়া, মাহি এদেরকেও এ ধরনের কার্যকলাপে দেখি নি। অনেকে পরীমনিকে বাহবা দিয়েছেন, কেন রে ভাই, এই গুলা কি কোন রুচিশীল মানুষের কাজ। আমি এই পোস্ট দিতাম না, তবু দিলাম, ছোট হলেও আমি মিডিয়ার একজন। ডিরেকশ আর স্ক্রীপ্ট রাইটিং ছাড়া আমার আর কোন পেশা নাই। আমি মিডিয়ায় কাজ করে খাই। পরীমনি নিজের ভুলে হোক, আর অন্যের ফাঁদে পড়ে হোক বড় বিপদে পড়েছিলেন। মিডিয়ার অনেকেই তার পাশে ছিলেন। জেল থেকে জামিনে বের হয়েই এই সব শুরু করে দিলেন তিনি। এত অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। পতনের শুরু হয় এভাবেই …..’

আর এম তুষার লিখেছেন, ‘নির্লজ্জ এক বেহায়ার জন্মদিন! তাকে নিয়েই কেউ লিখছে কবিতা কেউবা প্রবন্ধ! হায়রে শিক্ষিত ভক্ত যেনো সবাই মোহে অন্ধ!’

ক্ষোভ প্রকাশ করে জারিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘অসভ্যতার একটা সীমা থাকা উচিতৃৃৃৃ দেশের ৯৫% লোক মুসলিম এভাবে চলতে পারে না।’

সতর্ক করে আজাদ মাহমুদ লিখেছেন, ‘পরীর মনে রাখা উচিত এটা বাংলাদেশ। মুসলিম দেশ।’

সমালোচনা করে নুন্নাহার ইতি লিখেছেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে এই পরীমনির মতো বেপরোয়া উ-শৃঙ্খল অসভ্য কোনো নায়িকা আগে কখনো ছিলো না আর ফিউচার এ এমন নায়িকা হবেও না। পরীমনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে কলঙ্ক।’

পরীমনির পক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্মাতা রেজা ঘটক লিখেছেন, ‘পরীমণি তার জন্মদিনে লুঙ্গি পইরা ড্যান্স করছে, এজন্য কিছু মানুষের রাতের ঘুম হারাম। ওরে …….র দল একজন মানুষ নিজের জন্মদিনে কীভাবে কী করবে, এটা তোগো শিখিয়ে দেয়া লাগবে। পরীমণি কী তোদের বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছে! …….’

কামাল হোসেনের প্রশ্ন, ‘সে স্বাধীন দেশের নাগরিক। যেমন ইচ্ছে সে তার জন্মদিন পালন করছে। কোন ক্রাইম তো করছে না। তাহলে এত সমালোচনা কিসের?’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *