মানিকগঞ্জ সংবাদদাতাঃ২৮ অক্টোবর
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মায় শাহ আমানত ফেরি ডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান চলছে। উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ তৎপরতা চালাচ্ছে, আরেক জাহাজ ‘প্রত্যয়’ নারায়নগঞ্জ থেকে রওনা দিয়েছে এখনও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়নি।তবে ডুবে যাওয়া রো রো ফেরি আমনত শাহর ওজন বেশী হওয়ায় হামজার সক্ষমতার বাহিরে
বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ-র পরিচালক মো.শাহ জাহান বলেন ,আমাদের বিআইডব্লিউটিএর যতটুকও সক্ষমতা আছে তাই দিয়েই উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করে থাকি।কিন্ত আমাদের উদ্ধার কাজের সক্ষমতা আছে ২৫০ টনের মতো।আর হামজার হলো ৬০ টনের।আমার জানতে পেরিছি আমানত শাহর আউট অফ লোড হচ্ছে ৪৮০মে. টনের। ডুবে যাওয়ার পর আরো বুদ্ধি পেয়েছে। যা আমাদের সক্ষমতার বাহিরে।
তিনি আরো বলেন প্রবল ¯্রােতের কারনে উদ্ধারকারী জাহাজ ”প্রত্যয়” ঘটনাস্থলে আসতে ধেরি হচ্ছে। এছাড়া আরেকটি উদ্ধারকারী জাহাজ ”নির্ভিক” রয়েছে বরিশালে।আমাদের নায়ায়নগঞ্জের দুরুত্ব হলো ১৫০/১৬০ কিলোমিটার আর বরিশালের দুরুত্ব ২৫০ কিলোমিটার। দুরুত্ব বেশী থাকায় আসতে ধেরি হচ্ছে।আমরা উদ্ধার কাজে আরো কৌলশ অবলম্বন করছি।
অভিযানের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত একটি কাভার্ডভ্যান টেনে তুলেছে হামজা। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত নদীতে ডুবে যাওয়া পাঁচটি ট্রাক ও দুইটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
পদ্মায় নিমজিত কভার্ডভ্যানের মালিক হারুন অর রশিদ বলেন,আমি ও আমার স্ত্রী গার্মেন্টে চাকরি করে কিছু টাকা জমা করেছিলাম। সেই জমানো টাকা ও কিস্তি করে একটি ট্রাক কিনি। তাও ফেরি ডুবে আমার জীবনের সব সমবল শেষ হয়ে গেল। কাভার্ঢভ্যানের আয় দিয়ে কিস্তি দেই এবং সংসার চাইলাই।চোখের সামনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে কিছুই করতে পারছিনা।উদ্ধারের জন্য দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি কেউ পাত্তা দিচ্ছে না।
পটুয়াখালির দক্ষিন সবুজবাগের কাভার্ডভ্যানের মালিক সোয়েবুর রহমান বলেন,অনেক আশা করে একটি গাড়ী কিনি। তাও শেষ হয়ে গেলো।এখন কি ভাবে চলবো।
জানা গেছে, বুধবার সকালে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে রো রো ফেরি শাহ আমানত কাত হয়ে পড়ে যায়। বেলা ১টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কাজ করে।
বুধবার রাত পর্যন্ত ৪টি ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ উদ্ধার করা হয়। ৫টি ট্রাক ভেসে যাওয়ার আগেই ভাসমান কারখানা মধুমতির পাশে শনাক্ত করা হয়।
শাহীন তারেক