সিংগাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি

:মানিকগঞ্জের সিংগাইরে “এদেশ”মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ নামের সংস্থার প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন শতশত গ্রাহক। ভুক্তভোগীদের মধ্যে জনৈক কামাল হোসেন জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হচ্ছে- মোসলেমাবাদ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র এমএ মালেক, মৃত আলীমুদ্দিনের পুত্র কহিনুর ইসলাম, আহাদ নূর ও মো. সহিদ, মো. সহিদের পুত্র মো. ইমরান হোসেন ও সজিব হোসেন এবং সাহরাইল কায়েতপাড়া গ্রামের আব্দুল গনির পুত্র উজ্জল হোসেন। অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের মোসলেমাবাদ গ্রামের এমএ মালেক ও কহিনুর ইসলাম তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে ২০১০ সালে “এদেশ” মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি” ও ২০১৩ সালে “এদেশ সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ” নামের দু’টি সংস্থা খুলে। সংস্থা দু’টির মধ্যে একটির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ৭০ ই ব্যাংক কলোনী ও অপরটি সিংগাইর উপজেলার সাহরাইল বাজারে। অভিযুক্তরা পারিবারিকভাবে কমিটি তৈরি করে শতশত লোকজনের কাছ থেকে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়।। পাওনা সাড়ে আট লাখ টাকা চাইতে গেলে গত ৭ ডিসেম্বর মালিকপক্ষের লোকজন আটকে রাখে কামাল হোসেনকে। আটকের ২ ঘন্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। সরেজমিন মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সাহরাইল বাজারে গিয়ে “এদেশ” সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ” নামের প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব মেলেনি। তবে বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,সাভারের প্রতিষ্ঠানটি দু’বছর আগেই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। সাহরাইল স্কুল মার্কেটের দু’তলার অফিসটিও মাস ছয়েক আগে বন্ধ করে তারা গাঁ ঢাকা দিয়েছে। ভুক্তভোগী একাধিক গ্রাহক জানান, মুনাফার লোভ দেখিয়ে আমাদের কষ্টার্জিত টাকা জমা রেখে প্রতারণা করেছে। আমাদের অনেকের এখন পথে বসার উপক্রম হয়ে পড়েছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা মালিকপক্ষের খোঁজে তাদের বাড়িতে গেলে কথা হয় কমিটির অন্য সদেস্য ইমরান ও সজিবের সাথে। তারা টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন এবং খুব তাড়াতাড়ি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিবেন বলেও জানান। সিংগাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার আদিত্য বলেন, এ রকম কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আরব আলী বলেন, আমাদের কাছে লিখিতভাবে জানালে তদন্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন পাঠাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *