ডেস্ক রিপোর্ট

ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। এই আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন ১০ মন্ত্রী এবং ২০ বিধায়ক। ওই রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যদি আরও খারাপের দিকে যায় অর্থাৎ সংক্রমণ আরও বাড়লে কঠোর বিধিনিষেধ জারি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মাত্র একদিন আগেই মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৮ হাজার ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ঘটেছে। এর মধ্যেই সবাইকে সতর্ক করলেন অজিত পাওয়ার।
তিনি বলেন, আমরা সম্প্রতি বিধানসভার অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করেছি। এখন পর্যন্ত ১০ জনের বেশি মন্ত্রী এবং বিধানসভার আরও ২০ জনের বেশি সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেকেই নববর্ষ, জন্মদিন বা অন্যান্য অনুষ্ঠানের অংশ হতে চান। কিন্তু আমাদের সবারই এটা মনে রাখতে হবে যে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে এবং এ বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এ বিষয়ে লোকজনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে কিছু রাজ্যে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের মুম্বাই এবং পুনেতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।০১ জানুয়ারি ইনকিলাবে প্রকাশিক
আরও বিধিনিষেধ জারির বিষয়ে অজিত পাওয়ার বলেন, সংক্রমণ বাড়ার দিকে নজর রাখছে রাজ্য সরকার। যদি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তেই থাকে তবে কঠোর বিধিনিষেধ জারি হবে। কঠোর বিধিনিষেধ এড়াতে চাইলে লোকজনকে অবশ্যই বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার রাতে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। খোলা স্থানে বা আবদ্ধ কোথাও একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি মানুষ সমবেত হতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার মুম্বাইয়ে নতুন করে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বৃহস্পতিবারের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় দুই হাজার বেশি। বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। একদিনের ব্যবধানে করোনা শনাক্তের হার ৫৩ শতাংশ বেড়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার

 

দৈনিক ইনকিলাব

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *