
নিজস্ব সংবাদদাতা ,মানিকগঞ্জ,৯ এপ্রিল
ইলিয়াস বিশ্বাস ত্রিশ বছর আগে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরেও সংসারের হাল ধরতে শুরু করেন চায়ের দোকান। কিছুদিন পরেই ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে দোকান করতে গিয়ে হঠাৎ করেই হয়ে যান প্যারালাইজড। কোন রকমে স্ত্রী ছয় সন্তানদের নিয়ে ত্রিশ বছর ধরে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ছোট কালিয়াকৈর বাজারে চায়ের দোকান করে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। ইলিয়াস বিশ্বাসের টানাটানি আর কষ্টের সংসারে আলোর দিশা হয়ে এসেছে আলহাজ্ব এম এ সাত্তার খান ফাউন্ডেশনের স্বাবলম্বী প্রকল্প।
বুধবার ( ৯ এপ্রিল) বিকেলে সাড়ে ৫ টার দিকে এ প্রকল্পের আওতায় ইলিয়াস বিশ্বাসকে একটি অটো বাইক উপহার দেওয়া হয়। ইলিয়াস বিশ্বাসের ছেলে মো: আরাফাত এ অটো বাইক চালিয়ে সংসারের জোগান দিবেন। ছোট কালিয়াকৈর পুরাতন বাজারে এ অটো বাইকের চাবি তুলে দেন এম এ সাত্তার খান ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোস্তাফিজুর বিশ্বাস মিলন। এ সময় আরেক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী গনি বিশ্বাসের হাতেও অটো বাইকের চাবি তুলে দেওয়া হয়। কালিয়াকৈর বাজারে অটো বাইকের চাবি বিতরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোশাররফ বিশ্বাস, খলিলুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, মোকসেদ আলী,হালিম সরদার,বজলুর রহমান,আব্দুল আজিজ কোম্পানি, মিলন হোসেন, আবিদ হোসেন কাজল সরকার, মনির হোসেন বিশ্বাস ।
ইলিয়াস বিশ্বাসের ছেলে মো: আরাফাত বলেন, বাবা অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর প্যারালাইজড হয়ে পড়েন। অনেক কষ্ট করে চায়ের দোকান করে আমাদের সংসার চালাচ্ছেন। অল্প আয়ে বাবার সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। টাকা পয়সা না থাকায় আমরাও তেমন কিছু করতে পারিনি। এই অটো বাইক পেয়ে অনেক উপকার হলো। অটো চালিয়ে সংসারের হাল ধরতে পারবো, কষ্ট ঘুচাতে পারবো।
অটো বাইকের চাবি পেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী গনি বিশ্বাস বলেন, কোনদিন কেউ আমাগো খোঁজ খবর নেইনা। দিনরাত কামলা দিয়া পোলাপান মানুষ করছি। আমার দুই পোলা, এক মাইয়া। মাইয়াডা বিয়া দিছি,এক পোলারে সেভেন পর্যন্ত পড়াইছি। ট্যাহা পয়সা না থাকায় পুলাডারে পড়াইবার পারিনাই। নতুন অটো পাওনে আর দু:খ কষ্ট থাকবোনা। আয় রোজগার কইরা ডাল ভাত খাইয়া বাঁচবার পারুম।
আলহাজ্ব এম সাত্তার খান ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোস্তাফিজুর বিশ্বাস মিলন বলেন, ফাউন্ডেশনের স্বাবলম্বী প্রকল্পের আওতায় অসহায় মানুষের পাশে থাকতে দীর্ঘদিন ধরে আলহাজ্ব এম সাত্তার খান ফাউন্ডেশন কাজ করেছে৷ স্বাবলম্বী প্রকল্পসহ বহুমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে ফাউন্ডেশনটি।