মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি-
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মো. কাঞ্চন বিশ^াস (৬৪) নামের অবস্বরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় স্কুল শিক্ষককে মানিকগঞ্জ কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যপারে এগারো জনের নাম উল্লেখ করে হরিরামপুর থানায় মামলা করেছেন উপজেলার রামকৃষ্নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যাললে সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. কাঞ্চন বিশি^াসের স্ত্রী জুলিয়া আক্তার। মামলায় আসামীরা হলেন, ১. আন্নাছ কাজী (৪০),২. বজলু কাজী (৪০),৩. লুৎফর রহমান(৪২),৪. আক্কাস কাজী (৪২),৫. মাহাব আলী(৪২),৬.নাজমুল কাজী (২০),৭. নূরে আলম সিদ্দিকী (৩৮),৮. নূরুল ইসলাম (৪৫),৯.সেকান্দার (৪০), ১০. রাব্বী (২০) ও ১১.অর্পন (১৮)। মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ৩ অক্টোবর রাত নয়টার দিকে হরিরামপুর উপজেলার লেছরাগঞ্জ বাজার থেকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন রামকৃষ্নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যাললে সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. কাঞ্চন বিশি^াস। এরপর তিনি বাড়ির পাশ^বর্তী পিয়াজচর এলাকায় পৌছানো মাত্র রাস্তার পাশে বাঁশঝাড়ের ভেতর উৎপেতে থাকা আসামীরা তার উপর অর্তকিত হামলা চালায়। এ সময়ে তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা দ্রƒত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল এরপর অবস্থার অবনতি হলে কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে। মানিকগঞ্জ কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা.আরশ^াস উল্যাহ বলেন, আহত কাঞ্চন বিশ^াসের অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভাল আছে। চাপা ধরনের মারপিট করায় তার সারা শরীলে ব্যাথা বেশ কিছুদিন থাকবে এবং ডানপায়ে লাঠির আঘাতে গুরুত্বর জখম প্রাপ্ত হয়েছে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি গেলেও তাকে দীর্ঘদিন বিশ্রামে থাকতে হবে। হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগী মো. কাঞ্চন বিশ্বাসের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বাড়ির পাশে ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে পাশের বাড়ির আন্নাছ কাজীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্তরা হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের ঘনিষ্ট অনুসারী হওয়ায় তারা বিচার মানেন না। এক তরফা ভাবে আমার জমি তারা দখলে নিতে চান। তিনি বলেন, গত মাসের ২৭ তারিখ তার ছেলে জুলহাস বিশ^াসকে আন্নাছের পরিবারের লোকজন বেধরক মারধর করেছে। সেই সময়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়েরী করেছিলাম। সেই জের ধরে তারা আমাকে মারধর করেছে। আমি বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এ বিষয়ে মামলায় আসামী করা আন্নাছ কাজীর সঙ্গে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে কথা বলা সম্ভব হয়নি। হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য বলেন, এ বিষয়ে মামলা রজু হয়েছে। আসামীদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পক্রিয়া অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *