
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ১৮ আগস্ট
এক দম্পতির বিরুদ্ধে ১৪টি মামলার মধ্যে ৭টি মামলার সাজা হয়েছে বাকী ৭টি মামলার গ্রেপ্তারীপরোয়ানা নিয়ে নাম পরিচয় গোপন করে ৮ বছর পালিয়ে ছিলো। বুধবার রাতে ময়মনসিংহ থেকে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তার দম্পতি হলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম শানবান্ধা গ্রামের মাসুদ রানা ওরফে ইন্তাজ (৪৩) এবং তাঁর স্ত্রী লিলি বেগম (৩৫)।
সিআইডির মানিকগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী জানান, অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাসুদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি মামলায় আদালত থেকে তার বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে । বাকী ৭টি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ১৪টি মামলার মধ্যে তাঁর স্ত্রী লিলি বেগমের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। সবকটি মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। আসামিরা আমানতকারীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
সিআইডির সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০১ সালে বিদেশ থেকে দেশে আসেন মাসুদ। এর পর বন্ধুবান্ধবের পরামর্শে ২০১১ সালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বালিরটেক বাজারে গ্রামীণ শক্তি নামের ঋণদান সমবায় সমিতির কার্যালয় খোলেন মাসুদ ও তাঁর স্ত্রী লিলি বেগম। এর পর কয়েক মাস কতিপয় গ্রাহকদের ঋণদান শুরু করেন। এরই মধ্যে অধিক মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে শাখা খুলে লোকজনের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করতে থাকেন। কথা মতো টাকা ফেরত দিতে না পারায় মানুষজন চাপ প্রয়োগ করাসহ মামলা করেন। এর পর ২০১৪ সালে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ওই দম্পতি বালিরটেক থেকে পালিয়ে যান।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায় মাসুদ নিজেকে সাজেদুল ইসলাম, পিতা আজিজুল হক, মাতা-মনোয়ার বেগম, গ্রাম-তেঘরিয়া, থানা-মাদারগঞ্জ, জেলা-জামালপুর নামে নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করে দীর্ঘদিন সবার চোখে ফাঁকি দিযে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকায় জনশক্তি কৃষি সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি একই ধরনের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন ও সেখানে তিনি একটি গাঢ়ো সম্প্রদায়ের নারীকে বিয়ে করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সিআইডির পরিদর্শক মো. আনারুল ইসলাম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ময়মনসিংহ থেকে একটি বাসা থেকে মাসুদ ও তাঁর স্ত্রী লিলি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামিদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।