
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ২৫ অক্টোবর
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সংযোগ ভুল করে চালু রাখায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন রাশেদুল ইসলাম (৪৫), তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০), তাদের আড়াই বছরের ছেলে রিফাত হোসেন এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ফারুক হোসেন (৩৮)। তাদের গ্রামের বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার রাইল্যা গ্রামে।
গুরুতর অবস্থায় ওই দম্পতি ও তাদের সন্তানকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে পাঠানো হয়েছে। আর ফারুককে ভর্তি করা হয়েছে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে।
শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, রাশেদ ৮৫ শতাংশ, সোনিয়া ২০ শতাংশ ও শিশু রিফাত ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
থানা-পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নারাঙ্গাই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মাংসের ব্যবসা করেন রাশেদুল ইসলাম। সোমবার ঝড়বৃষ্টির কারণে ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালা বন্ধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন তারা।
জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধ ফারুক হোসেন জানান, ভোর চারটার দিকে রাশেদুল ঘুম থেকে ওঠে দোকানে যাওয়ার জন্য আমাকে ঘুম থেকে উঠতে ডাকাডাকি করেন। ঘুম থেকে ওঠে আমরা কক্ষের ভেতর কিছুটা বিকট গন্ধ অনুভব করি। এসময় রাশেদুল সিগারেটে আগুন ধরানোর জন্য ম্যাচের কাঠি জ্বালানোর পরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বশির আহমেদ বলেন, রাতের বেলা দরজা-জানালা বন্ধ করে গ্যাসের লাইন চালু রেখেই ঘুমিয়ে পড়তে পারে বাড়ির লোকজন। আগুন জ্বালানোর পর বদ্ধ কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র ৭১টিভি