হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন সংকট দেখা দেওয়ায় কোম্পানিগুলোকে ঊৎপাদন ভাড়ানোনর •আহবান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, হঠাৎ করেই সারা দেশে ডেঙুরোগীর সংখ্যা ১০ গুন বেড়ে গেছে। সে জন্য স্যালাইনের চাহিদাও বেড়ে গেছে। স্যাইনের সংকট যেন না হয় সে জন্যে ওষুধ কোম্পানিগুলো প্রয়োজনে বিদেশ থেকে আমদানী করতে পারবে।কর্তৃপক্ষকে পর্যাপ্ত স্যালাইন প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন প্রয়োজন হচ্ছে, মাস শেষে তা দাঁড়াচ্ছেছ প্রায় ১২ লাখ।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙু ইউনিট পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যেহেতু এখন বর্ষা মৌসুম, বৃষ্টি-বাদলা হয়ে বিভিন্ন স্থানে পানি জমা হয়ে থাকছে। এ কারণে মশা বাড়ছে। তবে, আশা করছি আগামীতে মশা ও ডেঙু রোগীর সংখ্যাও কমে আসবে। ডেঙু কমাতে হলে মশা কমাতে হবে। মশা কমলে ডেঙু রোগী কমবে। এ জন্য নিয়মিত বেশি বেশি স্প্রে করতে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশে স্যালাইন তৈরি করে তাদের বলেছি তারা যেন ফুল প্রোডাকশন করে। সব ওষুধ কোম্পানি মিলেও এতো স্যালাইন উৎপাদন করতে পারছে না। সে জন্য গত দুই দিন আগে মিটিং করেছি, প্রয়োজনেওষুধ কোম্পানী বিদেশ থেকে স্যালাইন আমদানি করতে পারবে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কিট সংকট নেই। সাপ্লাই যদি কম থাকে বা ঘাটতি থাকে তাদেরকে প্রয়োজনে বাইরে থেকে সরবরাহ করতে বলা আছে।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘ডেঙু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া আছে। ঢাকা শহরেই শুধু তিন হাজার বেড রাখা আছে। দুই হাজার বেডে রোগী আছে। সারা দেশে পাঁচ হাজার বেড রেডি রাখার জন্য বলেছি। অনেক বেড এখনও খালি আছে। ডেঙু রোগী কমাতে হলে মশা কমাতে হবে। মশা কমলে ডেঙু হবে না। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে আহ্বান করেছি, যাতে তারা ভালোভাবে স্প্রে করে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, সিভিল সার্জন ডা মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা কাজী এ কে এম রাসেল,জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো.রমজান আলী,যুগ্ন-সাধারন সম্পাক সুলতানুল আজম খান আপেল,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো,আরশেদ আলীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।