মোঃ শাহানুর ইসলাম,মানিকগঞ্জ১৫ আগস

  • স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা তার সহযোগীদের বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন আঃলীগ সহ সকল অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবীতে মানিকগঞ্জ শহরে স্মরণকালের বৃহৎ বিভোক্ষ মিছিল সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

আজ বৃহস্প্রতিবার ( ১৫ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মানিকগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ তিতুমির থেকে বিশাল এই বিক্ষোভ মিছিল বের করে।মিছিলটি শহর প্রদক্ষিন করে শহীদ রফিক চত্তরে সমাবেশ করে বাসস্টান্ডে গিয়ে আবার সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শহর ঘুরে শহীদ তিতুমীর একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়।

জামায়াতে ইসলামী ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীর ছাড়াও সাধারন মানুষ রাস্তায় মিছিল চলার পথে মিছিলে যোগদান করেন।যা এক পর্যায়ে গন মানুষের মিছিলে পরিনত হয়।মানিকগঞ্জ বাসী ইতিপূবে কখনও জামায়াতে ইসলামীর এত বড় মিছিল দেখেনি।

সমাবেশে জেলা আমীর মাওলানা কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অথিতি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক  মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন।

মানিকগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা নূরুল ইসলামে সঞ্চলনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন.জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন,ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা জাকিরুল ইসলাম খান,জেলা মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন,মানিকগঞ্জ পৌর আমীর হুমায়ূন কবির,সদর থানা আমীর ফজলুল হক সেক্রেটারী এডভোকেট শাহজাহান, জেলা ব্যাবসায়ী সমন্বয়ক আব্দুল হক বিশ^াস,ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি বাবুল হোসেন ,ঘিওর থানা আমীর মাওলানা জহিরুল ইসলাম,হরিরামপুর থানা আমীর হাফেজ লোকমান আহম্মেদ ,দৌলতপুর থানা আমীর ইমরান হোসেন,সিংগাইর পৌর সভাপতি মোঃ আরিফ হোসাইন, কাজী নূর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন,আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে হাজার হাজার মানুষদেরকে অন্যায়ভাবে জেলে যেতে হয়েছে।নারী শিশুসহ অগনিত নিরিহ মানুষকে খুন হয়েছে।অন্যায়ভাবে জামায়াতের নেতাদেরকে তারা ফাঁসি দিয়েছে।আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী (রঃ) কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।এই মানিকগঞ্জের কৃতি সন্তান মানবতাবাদী,দেশপ্রেমিক এক মহান স্বপ্নদ্রষ্টা শহীদ মীর কাসেম আলীকে নির্মম ভাবে জুডিশিয়াল মার্ডার করা হয়েছে।ছাত্র জনতার উপর ইহুদীদের কায়দায় হামলা চালিয়ে নির্দয় ভাবে হত্যাকরা হয়েছে।এই হায়েনা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাত হতে অবুঝ শিশুও রক্ষা পাই নাই।দেশের নিরাপত্তা দেশের মানুষের কাজের জন্যে যে গুলিঅস্ত্র,হেলিকপ্টার সহ সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে তা দিয়ে দেশের নাগরিকদেরই হত্যা করা হয়েছে।ভারতীয় তাবেদার এই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এই পবিত্র বাংলাদেশের মাটিতে আর ঠাই দেয়া হবে না। তাদের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম অপতৎপরতা চির দিনের জন্যে নিষিদ্ধ করতে হবে।যদি তাদের নিষিদ্ধ না করা হয় তাহলে এদেশের তৌহিদী ছাত্রজনতা তথা সর্বস্থরের মানুষ আবার রাজপথে নেমে আসবে।আমরা আশা করবো অতিদ্রুতই এই অন্তর্বতীকালিন সরকার এদের নিষিদ্ধ করবে।আমরা রাজ পথে আছি এবাং থাকবো।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছাত্র জনতাকে নিয়ে দেশের স্বাধীনতাসার্বভৌমত্বের পাহারাদারের ভূমিকায় থাকবে।সকল হত্যাকান্ডের বিচার অবশ্যই দ্রুত করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আবু সাঈদসহ অসংখ্য ছাত্রদের হত্যা করেছে।খুনি হাসিনা সরকার।দেশের নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী করেছে। এই হত্যা কান্ডের কারনে খুনি হাসিনার ফাঁসি দিতে হবে।

এছাড়া আওয়ামীলীগ,যুবলীগ.ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সকল সংগঠনের নিষিদ্ধ করার দাবী করেন তারা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *