মোঃ শাহানুর ইসলামমানিকগঞ্জ

শুক্রবার সন্ধ্যা হতে গভীর রাত পর্যন্ত মানিকগঞ্জ বিজয় মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত হলো মানিকগঞ্জে ইতিহাসে সর্ববৃহৎ কাওয়ালী সন্ধ্যা দ্রোহের গান।

জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র বিজয় মেলা (সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় )মাঠে ছাত্রজনতার মহান আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সমন্বয়কারী আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগেবিপ্লবী মঞ্চেনামে ২০২৪ এর গনঅভ্যাত্থানের শহিদদের স্মরণেকাওয়ালী সন্ধ্যা দ্রোহের গানঅনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল হতেই জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী,অভিভাবক,বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ পরিবারপরিজন নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে আসতে থাকে।মাগরিবের নামাজের পর মাঠে নামে মানুষের ঢল।এই সময় শিশুতরুনযুবকবৃদ্ধ একাকার হয়ে যায়। সময় মাঠে শুধু মানুষ আর মানুষ।এ যেন এক বাধ ভাঙ্গা স্রোত।মানুষ গত ৫ই আগষ্ঠ বিজয়ের দিন মানিকগঞ্জ শহরে এমন মানুষের বাধ ভাঙ্গা স্রোত দেখেছে আর দেখলো গত কাল।কি এক প্রাণের টানে,কি অজানা প্রশান্তি টানে এমন মানুষের স্রোত তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়।

কাওয়ালী শুরু হবার পর মানুষ উচ্ছাসে ফেটে পড়ে।নারায়ে তকবিরআল্লাহু আকবার শ্লোগানে মুখরিত মানিকগঞ্জ বিজয় মেলার মাঠ।আল্লাহুর নামে ধ্বানিতে প্রকম্পিত পুরো জেলা শহর ।কিছু সময় পর বৃষ্টিতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটালেও স্থান ত্যাগ করাতে পারেনি আবেগি সূর পিপাসু মানুষদের।

অনুষ্ঠানে কাওয়ালী দ্রোহের গান পরিবেশন করেন,বাংলাদেশের  বিখ্যাত  জনপ্রিয় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কাওয়ালী ব্র্যান্ড সিলসিলা,ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র তবীব মাহমুদ,জনপ্রিয় তরুন শিল্পী আবু ওবায়দা,ঢাকা বিশ^ বিদ্যালয়ের আরেক প্রনপ্রিয় কাওয়ালী গোষ্টী কাসিদা,গাল্লিবয় খ্যাত রানা,মানিকগঞ্জ সাংস্কৃতিক সংসদের সদস্য সচিব জনপ্রিয় শিল্পী এস,এম ফেরদৌস পরিচালক মোমিনুর রহমান সালেহীর নেতৃত্বে ইসলামিক নাশিদ পরিবেশন স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠান।

অনুুষ্ঠানে পরিবার নিয়ে কাওয়ালী শুনতে আসা সাংবাদিক এস এম সাইফুল্লাহ্ বলেন,গত দেড় যুগে মানুষ দেখেছে সাংস্কৃতির নামে কি বেহায়পনা চলছে।তারা পরিবার নিয়ে কোন অনুষ্ঠানে যেতে পারেনি।অশ্লীলতা আর বেহায়পনাই ছিলো ঐসব অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য।আজ মনে হচ্ছে আমাদের তরুনরা বিপথগামী হয় নাই।এ দেশ এদের কাছেই নিরাপদ।

সূরের মূর্ছনায় রাত যত গভীর হয়েছে স্রোতাদের ততই আগ্রহ বেড়েছে।শিল্পীরা মধ্য রাতে স্রোতাদের অনুরোধ করে অনুষ্ঠান শেষ করতে বাধ্য হয়।

মানিকগঞ্জ বাসী দেখলো এক নতুন অধ্যায়,তারা স্বাক্ষী হলো এক নতুন ধারার সাংস্কৃতিক বিপ্লবের।

মানুষের বাধ ভাঙ্গা উচ্ছাস আর অনুরোধে আয়োজকরা বলতে বাধ্য হয় অনুষ্ঠান আবার হবে।

আয়োজকরা বলেন,আমরা সবার সহযোগীতায় আগামীতেও দেশীয় সুস্থধারার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *