
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ২৩ অক্টোবর
মানিকগঞ্জে স্বল্পমূল্যে অগ্রীম ইট বিক্রির নামে ১৭ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী মিতরা এ.আর.সি ইট খোলার মালিক আব্দুর রাজ্জাক এর বিচারসহ পাওনা টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভূক্তভুগীরা।
২৩ অক্টোবর রোববার সকাল দশটার দিকে সদর উপজেলার মানিকগঞ্জ-সিংগাইর গাবতলী সড়কের মিতরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভূক্তভোগী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়াজন করে।
হাফেজ মাওলানা মো: ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন,শাহীনূল ইসলাম তারেক, মো: ইদ্রিস আলী,আব্দুল খালেক বাবু,মাওলানা রাকিবুল ইসলাম,মো: সাইদুর রহমান প্রমুখ।
ভুক্তভোগীরা জানান, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বিভিন্ন ধাপে এআরসি ইট খোলার মালিক আ:রাজ্জাক স্বপ্লমূল্যে অগ্রীম ইট বিক্রির কথা বলে ব্যাংক ও এলাকার দুই শতাধিক মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা অগ্রীম নিয়েছে। এখন আর ইটও দিচ্ছে না টাকাও দিচ্ছে না।টাকা ফেরত না দেওয়ায় অনেকে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। টাকার শোকে অনেকে অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসা করতে পারছেনা।
বক্তারা আরো বলেন,ইট ক্রয়ের টাকা ফেরত চাইতে গিলে আব্দুল রাজ্জাক উল্টো আরো মামলা হামলার ভয়ভিতী দেখায়। এছাড়া পাওনাদারের জমি লেখে দিবে বলে আশ্বাস দিলেও তা আজও বাস্তবায়ন করেনি।ভুক্তভোগীরা মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
ভুক্তভোগী ইট ব্যাবসায়ী মো.লাভলু মিয়া জানান,আমি একজন ইট ব্যাবসায়ী।ব্যাংক থেকে লোন দিয়ে সরল বিশ^াসে আমি এ.আর.সি খোলার মালিক আব্দুর রাজ্জাকের কাছ খেকে ৭৮ লাখ টাকার অগ্রিম ইট কিনি ।এখন দেয় দিচ্ছি বলে দিচ্ছে না।
ভুক্তভোগি সায়দুর রহমান জানান,তারা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ ও স্থানীয় প্রেসক্লাব বরাবরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। এছাড়া ২৫ জনের বেশী লোক টাকা ফেরতের জন্য আদালতে মামলা করেছেন।
ব্যাবসায়ী আব্দুল খালেক বাবুল বলেন,আমি মানিকগঞ্জ শহরের দুইটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ইট সরবরাহ করার জন্য ৫০ লাখ টাকার অগ্রীম ইট ক্রয় করি।প্রথমে কয়েক গাড়ী ইট দেওয়ার পর বন্ধ করে দেয়।দেই দিচ্ছি করে ৪ বছর ধরে ঘুরাইতেছে।এখনো পাওনা টাকার ইট দিচ্ছে না। চাইতে গেলে আরো মামলার ভয় দেখায়।তিনি প্রতারক আব্দুর রাজ্জাকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান।