স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ (২৯ নভেম্বর)

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আটটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং দুটিতে জয়ী হয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এদের মধ্যে আটটিতে সরাসরি ভোটে এবং দুটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যার পদে ৩৮ প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ২০ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

 

দিঘী ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতার উদ্দিন আহমেদ রাজা (৮,৮৯৯ ভোট)। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মতিন মোল্লা পেয়েছেন ২, ৬৮৮ ভোট।, আনারস প্রতীকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী নুসরাত ইসলাম নুপুর পেয়েছেন ৫০০ এবং চশমা প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার রহমান পেয়েছেন ৪৭৬ ভোট। এই ইউনিয়নে দুজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

 

নবগ্রাম ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গাজী হাসান আল মেহেদি সুহাস (৯,৭৩০ ভোট)। বর্তমান চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) রাকিব হোসেন ফরহাদ পেয়েছেন ১,৬৯২ ভোট এবং মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু পেয়েছেন ৯৪৪ ভোট। এখানে একজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

 

পুটাইল ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিদুর রহমান মহিদ ৮,২৮৯ ভোট। চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোয়েব আহামেদ রাজা পেয়েছেন ৩,৮২৭ ভোটে এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও আনারস প্রতীকের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) আব্দুল জলিল পেয়েছেন ১,৬৩৯ ভোট। এখানে একজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

 

ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল জলিল পেয়েছেন ৩,৫৯০ ভোট। কাপ-পিরিচ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশরারফ হোসেন পেয়েছেন ২,২৬৮ ভোট, মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ১,৫৪৭ ভোট, রজনীগন্ধা প্রতীকের প্রার্থী সিদ্দিক খান পেয়েছেন ১,২৮২ ভোট, অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল হক পেয়েছেন ১,২৩৯ ভোট, চশমা প্রতীকের প্রার্থী ছামসুল হক সাগর পেয়েছেন ১,১২৯ ভোট, বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের পেয়েছেন ৮৫৭ ভোট, টেবিল ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন লাভলু পেয়েছেন ৩৪৯ ভোট, দুটি পাতা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খান দীপক পেয়েছেন ৩৩৭ ভোট, আনারস প্রতীকের প্রার্থী জাফর ইমাম শাহজাদা পেয়েছেন ৩৩৪ ভোট, টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সাহিদ হোসাইন অনিক পেয়েছেন ১৯৭ ভোট এবং ঢোল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদশাহ মিয়া পেয়েছেন ৩৪ ভোট। উল্লেখ্য, ১২জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

 

হাটিপাড়া ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম মনির হোসেন ৮,৩৩৭ ভোট। মোটরসাইকেল প্রতীকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মজনু পেয়েছেন ৫,২২৮ ভোট এবং সাবেক চেয়ারম্যান অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন বিশ্বাস মাদল পেয়েছেন ২,৮৬২ ভোট।

 

কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম হোসেন বিপ্লব (১০, ৬৪৪ ভোট)। সাবেক চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র ) প্রার্থী আব্দুল হামিদ চান্দু দারোগা পেয়েছেন ৫,২৪৫ ভোট, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৬৭৫ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতাপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদুল মোস্তাফা কাজল পেয়েছেন ৩২৯ ভোট এবং আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র পার্থী জবেদ আলী সরকার পেয়েছেন ২০৩ ভোট। পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে তিনজনের জামানাত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

 

আটিগ্রাম ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নূর-এ আলম সরকার (৬, ২০৫ ভোট) । সাবেক চেয়ারম্যান ও আনারস প্রতীকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী নার্গিস আক্তার বাচ্চা পেয়েছেন ৫, ৭৭৭ ভোট এবং মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী সালাউদ্দিন টিটু পেয়েছে ১,০২৫ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতাপাখা প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৩৩৬ এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীকের প্রার্থী মঞ্জুর আলম পেয়েছে ১১৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *