সিংগাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দায়সারা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিজয়ী শিক্ষার্থীরা নেয়নি পুরুস্কার। খেলাধূলার নামে প্রায় ১শ ৩০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিয়া সুলতানা । আর এ চাঁদা থেকে নিম্নমানের প্লাষ্টিকের টিফিন বক্স পুরুস্কার দেয়। এতে এলাকার প্রতিনিধিদের না জানিয়ে দায়সারা ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরুস্কার বিতরন করার অভিযোগ ওঠেছে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার(৩০ জানুয়ারি)সকাল ১০ টার দিকে অত্র বিদ্যালয়ের আয়োজনে এ ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। সরেজমিন জানা যায়,অত্র বিদ্যালয়ের প্রায় ১শ ৩০জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে খেলাধূলার নামে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আর সেই টাকা দিয়ে নিম্নমানের পুরুস্কার বিজয়ীদের মাঝে বিতরন করা হয়। এতে অভিভাবকরা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতি ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করায় বিজয়ী শিক্ষার্থীরা নেয়নি পুরুস্কার। সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ফরিদ হোসেন ও আলমগীর হোসেন বিজয়ী শিক্ষার্থীরা পুরুস্কার না নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আমরা যখন স্কুল পরিচালনা করেছি, তখন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্রীড়া প্রতিযোগীতা আয়োজন করেছি। এমনকি বিজয়দের মাঝে সন্তোষজনক পুরুস্কার সেই সাথে অন্য শিক্ষার্থীদের শান্তনা পুরুস্কারও দিয়েছি। কিন্তু এ বছর প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি কাউকে না জানিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে বিজয়ীদের মাঝে নিম্নমানের পুরুস্কার হিসেবে প্লাষ্টিকের টিফিন বক্স দিয়েছেন। যা আমাদের কখনও কাম্য না। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, সভাপতিকে নিয়ে বসেছিলাম সে কোন উদ্যোগ না নেয়ায় স্বল্প পরিসরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সিংগাইর সরকারি কলেজের শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন বলেন,টাকা নেয়া সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। আমি কলেজে আছি, ব্যস্ততার জন্য যেতে পারিনি । সিংগাইর উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার নাহিদা আক্তার বলেন-বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।