নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ (৩০ এপ্রিল)

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মানিকগঞ্জের জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারজন দরিদ্র শিক্ষার্থীকে এক জোড়া করে কেডস ও এক জোড়া করে মোজা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক এস এম রাব্বি’র উদ্ভাবন ’দ্য স্মার্ট স্টুডেন্ট অফ দ্য ডে’র আওতায় সামাজিক সহযোগিতা মাধ্যমে আজ (মঙ্গলবার) সকালে তাদের হাতে এই জুতা ও মোজা তুলে দেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ তাদের হাতে এসব তুলে দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এস এম রাব্বি, অন্যান্য সহকারী শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ।

যে চারজন শিক্ষার্থী জুতা ও মোজা পেয়েছেন তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্বনজিতা ও শিবলী সাদিক.চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজ্য।ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া আক্তার। স্বনজিতার পিতা একজন জেলে, শিবলী সাদিকের পিতা একজন মাওলানা, রাজ্য’র পিতা একজন পান বিক্রেতা ও  লামিয়া আক্তারের পিতা একজন গার্মেন্টস কর্মী।

এস এম রাব্বি বলেন, ‘অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় স্কুল ড্রেসের অভাবে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালযয়ে আসতে চায় না। তারা মানসিকভাবে একটু পিছিয়ে থাকে। বিদ্যালয় প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। লেখাপড়ায় অমনোযোগিতা চলে আসে। এই  উদ্ভাবনের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মনোবল বৃদ্ধি করা।  পরিপাটি হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে উৎসাহিত করা। মানসিকভাবে তাদেরকে একটু এগিয়ে রাখা।  বিদ্যালয় প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা।  এই উদ্দেশ্য গুলোকে সামনে নিয়েই দরিদ্র  শিক্ষার্থীদের মাঝে জুতা ও মোজা বিতরণের  সিদ্ধান্ত নেই। মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার আবু মোঃ নাহিদের অর্থায়নে তাদেরকে জোতা ও মোজা দেওয়া হয়।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ’আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এস এম রাব্বি’র এই উদ্যোগটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। তিনি শিক্ষক হিসেবেও যেমন অ্যাক্টভ তেমনি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারেও্র খুবই আন্তরিক। তাঁর আহবানে স্থানীয় কাউন্সিলার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তিনিও বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। এভাবে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে যদি অন্যরাও এগিয়ে আসেন তাহলে তারা লেখাপড়ায় আরও মনযেোগি হবে।’

কাউন্সিলার আবু মো: নাহিদ বলেন, ‘এস এম রাব্বি আমাকে বলেছিল কয়েকজন দরিদ্র শিক্ষার্থীকে জুতা ও মোজা কেনার টাকা দিতে। আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিয়েছি। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমি এটা করেছি। এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এস এম রাব্বিকে ধন্যবাদ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *