মো.রকিবুল হাসান বিশ্বাস, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)থেকে:মানিকগঞ্জের সিংগাইরে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যসহ পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির স্বর্ণ বিক্রির নগদ টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ওয়াইজনগর গ্রামের মৃত সাদেকের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৫০), মো. পর্বত খানের ছেলে মো. আরমান (৩৫), একই উপজেলার ছয়ানী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. মিজান (২৫), চর মাধবপুর গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) ও একই গ্রামের মৃত হামিদ আলীর ছেলে মো. মনির হোসেন (৩৭)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের কমলনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী উজ্জ্বল সন্যাসীর বাড়িতে গত ২৮ মার্চ চারজন দুষ্কৃতিকারী কৌশলে খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায়। পরে তারা রাত সোয়া ১ টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবাসী উজ্জ্বল সন্যাসীর বাড়ি থেকে ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকা সমমূল্যের স্বর্ণালংকার, নগদ ৮৫ হাজার টাকা ও কসমেটিকস লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় উজ্জ্বল সন্যাসীর স্ত্রী পূজা সরকার ২৯ মার্চ বাদি হয়ে সিংগাইর থানায় অজ্ঞাতনামা চারজন দুস্কৃতির বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, গত ২৮ মার্চ এই ডাকাতির ঘটনার পাঁচদিনের মধ্যে সম্পৃক্ত আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ও মো. আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মিজান, সোহাগ ও মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি বড় রামদা, একটি লোহার নাক চিরানী ( তালা ও গ্রীল ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত), একটি সেলাই রেঞ্জ, একটি ধারালো চাকু, একটি প্লাস ও একটি টর্চ লাইট উদ্ধার করা হয়। অপর আসামি মনিরের কাছ থেকে ৫ ভরি ৩ আনা ৫ রত্তি স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণ বিক্রির নগদ তিন লাখ ৫৩ হাজার টাকা এবং মিজানের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন পুলিশ।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ ডাকাতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত আব্দুল কুদ্দুস, আরমান, মিজান ও সোহাগের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন আছে। পলাতক ডাকাতদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।