
মোঃ, রকিবুল হাসান বিশ্বাস, সিংগাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌর মেয়র ও আ”লীগ নেতা আবু নাঈম মো.বাশার ও কাউন্সিলর রিয়াজুল ইসলাম এর সাথে ওসি অসাধাচরণ করায় স্থানীয় প্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। সোমবার(৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর থানার গেট সংলগ্ন সিংগাইর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়,সিংগাইর পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ড সিংগাইর বাজার সংলগ্ন নিউ মার্কেটের পূর্বপাশে চর আজিমপুর যাওয়ার রাস্তায় জনৈক ইমু সুলতানা মনোরঞ্জন ঘোষেের কাছ থেকে ৮.৩৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেই জমিতে গত ২ নভেম্বর সরকারি রাস্তা দখল করে বাউন্ডারি নির্মান কাজ শুরু করেন । বিষয়টি পৌর মেয়র অবগত হলে কাউন্সিলর রিয়াজুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠান। সেখানে গিয়ে তিনি বাউন্ডারি করতে নিষেধ করেন। এতে জমির মালিক ইমু সুলতানা গং ক্ষিপ্ত হয়ে কাউন্সিলর রিয়াজুল হক কে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার(৭ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে অভিযুক্ত কাউন্সিলর রিয়াজুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে থানায় ডেকে আনে। অপর দিকে পৌর মেয়রকেও ডেকে আনে ওসি। তিনি থানায় গেলে এ বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনার এক পর্যায় পৌর মেয়র ও কাউন্সিলের সাথে অসাধাচরণ করেন ওসি। বিষয়টি মুহূর্তে এলাকায় ছড়িয়ে পরলে সন্ধ্যার পর পৌর কাউন্সিলরসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ওসির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।এসময় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়।
পৌর মেয়র আবু নাঈম মো.বাশার বলেন,আমার কাউন্সিলরের সাথে ওসি খারাপ আচারন করায় আমি প্রতিবাদ করি। এসময় কথা কাটিকাটি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন।
সিংগাইর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন,বিষয়টি আমি এসপি ও এমপি মহোদয়কে অবগত করেছি।
সিংগাইর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার(এএসপি)আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন,একজন কাউন্সিলরকে ডেকে আনায় ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। সেটা সমাধান হয়েছে অন্য কিছু নয়।