
মো.রকিবুল হাসান বিশ্বাস,সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)থেকে:
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা থেকে সুলতান মির্জা (৭০) নামে এক বৃদ্ধের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। পরে কঙ্কালের গায়ের কাপড় দেখে বাবার লাশ সনাক্ত করেছে ছেলে। নিহত সুলতান মির্জা সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ ধল্লা গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের ছেলে নেসার উদ্দিন জানান, তার বাবা গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পর দিন সিংগাইর থানায় একটি নিখোঁজের জিডি করেন । তাদের পৈত্রিক নিবাস পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ।
গত ৮ বছর যাবত আগে উপজেলার দক্ষিণ ধল্লায় জমি কিনে বাড়ি করে সেখানেই বসবাস করছেন। তার বাবা সুলতান মির্জা পেশায় একজন অটোচালক ছিলেন। তিনি নিয়মিত নামাজ রোজা করতেন। কে বা কারা কি কারনে তার বাবাকে হত্যা করেছে তা বলতে পারছেন না ।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকার কাঠ বাগানের পাশে নদীতে বিল বোডের খুটির সাথে বাঁধা অবস্থায় একটি মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ছেলে নেছার উদ্দিন তার বাবার পরনের কাপড় দেখে লাশটি শনাক্ত করে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান। সেই সাথে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজের জিডি করার কথা স্বীকার করেন ওসি। তিনি আরো বলেন, জিডির তদন্ত দেয়া হয় ধল্লা পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলামকে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার অন্তর্গত ধল্লা পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম থানায় নিখোঁজের জিডির কথা স্বীকার করলেও তদন্ত কর্মকর্তা তিনি ছিলেন না বলেও জানান।