মো.রকিবুল হাসান বিশ্বাস,সিংগাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীতে ফিজিওথেরাপি কোর্স করে চেম্বার খুলে দিয়ে যাচ্ছে সর্বরোগের চিকিৎসা। হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থকরি। ফিজিওথেরাপিস্টের নাম মো. মাহবুব ইসলাম (৩১)। তিনি উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের রিফায়েতপুর গ্রামের মনির উজ্জামানের পুত্র । এর আগে মাহবুব মানিকনগর বাজারে এক ফার্মেসীতে এ ধরনের চিকিৎসা শুরু করলে ও বেশীদিন স্থায়ী হয়নি। পরে তিনি একই ইউনিয়নের চালিতাপাড়া মনু বাজারে চেম্বার খুলে দিচ্ছেন চিকিৎসা। গত ৩ বছর যাবত চলছে তার এ ধরনের অপচিকিৎসা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মনির উজ্জামান স্বাস্থ্যকানন নামের ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসীতে প্রতি শুক্র ও শনিবার দিনভর রোগী দেখেন ফিজিও মো. মাহবুব ইসলাম। তার এ ফার্মেসীতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সার্জিকেল উপকরণসহ ওষুধপত্র। নামের আগে ফিজিও লেখা থাকলেও ব্যবস্থাপত্রে রয়েছে ডিপিটি, পিএমটি, এফটিসহ বিভিন্ন রকম ডিগ্রী।
এ চেম্বার ছাড়াও মাহবুব ইসলাম উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের বিন্যাডাঙ্গী বাসষ্ট্যান্ড মসজিদ সংলগ্ন আবুল দর্জির বাড়িতে প্রতি মঙ্গলবার ফিজিওথেরাপি ও দন্ত রোগের চিকিৎসা দেন বলেও স্বীকার করেন তিনি। মাহবুব বলেন, আমি ২০০৬ সালে এসএসসি পাশ করার পর বিভিন্ন ধরনের কোর্স করে মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে আমার চিকিৎসা দেয়া বিধিসম্মত না হলে আমি আর করবো না। মাহবুব ইসলামের দেয়া একাধিক ব্যবস্থাপত্রে দেখা গেছে উচ্চ মাত্রার এন্টিবায়োটিক ও ব্যাথানাশকসহ দীর্ঘ ওষুধের তালিকা। যা তার ফার্মেসী থেকেই ক্রয় করতে হয় রোগীদের । চিকিৎসা ফি না নিলেও ওষুধ বাবদ প্রতি রোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
এছাড়া আগত অনেক রোগীকেই স্যালাইন পুশ করে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। মাহবুবের এ অপচিকিৎসা সর্ম্পকে আবাসিক সার্জন ডাঃ সামিউর রহমান বলেন, একজন ফিজিওথেরাপিস্ট কোনোভাবেই থেরাপির বাইরে কোন চিকিৎসা সেবা দিতে পারে না। এটা পুরোপুরি অপচিকিৎসা। অতিমাত্রায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে শরীরে রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। যার ফলে পরবর্তীতে ওষুধে কাজ করে না। এছাড়া অতিরিক্ত ব্যাথানাশক ব্যবহারেও কিডনী বিকল হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুজহাত নওরীন আমীন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।