
মো.রকিবুল হাসান বিশ্বাস,সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)থেকে:
আবারো আলোচনায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার (এটিইও) মো. ফারুক হোসেন। তার বিরুদ্ধে এবার শিক্ষক বদলীতে অনিয়ম-দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ৩নং গোবিন্ধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিরিন আক্তার এ অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে এটিইও ফারুকের বিরুদ্ধে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয় ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্লিপের টাকায় কেনাকাটা নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। উপজেলা প্রশাসন থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও এখনো পর্যন্ত সে তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। এটিইও ফারুক হোসেন এবার শিক্ষক বদলীতে চাহিদামত টাকা না পেয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। তারই অধিনস্থ শিক্ষক এ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার ৩নং গোবিন্ধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিরিন আক্তার ৮৪ নং গোবিন্ধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর জন্য গত ২৭ সেপ্টেম্বর আবেদন করেন। জ্যৈষ্ঠতা, দূরত্ব, জেন্ডার, স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা ও দু’টি শিশু কন্যা সন্তানের কথা বিবেচনায় অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। এ সুযোগ নিয়ে এটিইও ফারুক হোসেন বদলীর নিশ্চয়তা দিয়ে ওই শিক্ষকের কাছে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দাবি করেন। চাহিদামত টাকা না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অজুহাতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ চাকুরীকালীন ক্ষতি করবেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিরিন আক্তারের পরিবর্তে পারিল নওয়াধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানজিনা আক্তারকে ওই স্কুলে বদলী করেন। যা অভিযোগকারীর ওপর অবিচার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক জারিকৃত বদলীর আদেশ বাতিলসহ তার বিষয়টি পুনঃবিবেচনা এবং এটিইও ফারুক হোসেনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. ফারুক হোসেন বলেন, অভিযোগকারী শিক্ষক আমার ক্লিষ্টারে না। অক্টোবরের নতুন সার্কুলার মেনে বদলী অর্ডার হয়েছে। এখানে আমার কোন হস্তক্ষেপ নেই। সিংগাইর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নার্গিস আক্তার বলেন, সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষক বদলী হয়। টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। সে হয়তো বদলীর ক্যাটাগরিতে পড়ে নাই। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার তাপস চন্দ্র অধিকারীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।