সিংগাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি:
অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ২২৯ জন শ্রমিকের সঞ্চয়ের সাড়ে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে,মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নে।
এ ঘটনায় প্রকল্পগুলোর ৭ জন সভাপতি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগে দায়ের করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন সোমবার (১২ জুন) দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৪০ দিনের কর্মসূচীর ১ম ও ২য় পর্যায়ে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ২২৯ জন শ্রমিকের হিসাব খোলা হয় অগ্রনী ব্যাংক বাস্তা বাসস্ট্যান্ড শাখায়। এতে দু,ধাপে ৮০ দিনে শ্রমিক প্রতি ৪ হাজার টাকা করে মোট সাড়ে ৮ লাখ টাকা সঞ্চয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। অর্থ বছর শেষে শ্রমিকদের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট হতে ওই টাকা উত্তোলন করে নেয়ার শর্তে প্রকল্প সভাপতিরা দরিদ্র শ্রমিকদের সঞ্চয়ের টাকা নিজেরা পরিশোধ করে দেন। যা পরবর্তীতে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ওই টাকা উত্তোলন করে প্রকল্প সভাপতিদের না দিয়ে পুরো টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন।
প্রকল্প সভাপতি ও ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. সানোয়ার হোসেন খান বলেন, ২০২১ সালের জুলাই মাসে ব্যাংকে শ্রমিকদের সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, চেয়ারম্যান সাহেব সঞ্চয়ের টাকা দিতে নিষেধ করেছেন। চেয়ারম্যান সাহেবকে জিজ্ঞেস করলে তিনি টাকা উত্তোলন করে দিবেন বলে জানান। তারপর ৭ মাস কেটে গেলেও বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন। পরে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি পুরো টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন।
ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের কথা অস্বীকার করে বলেন, কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ দিতে পারে। শ্রমিকদের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা কি আদৌ সম্ভব! আমরা তাদের নাম ঠিকানা সত্যায়ন করে দেই মাত্র। পত্রিকায় নিউজ না করার অনুরোধ করে স্বাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।
অগ্রণী ব্যাংক বাস্তা বাসস্ট্যান্ড শাখার ব্যবস্থাপক মো. সুজাউদৌল্লা বলেন, ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকের টাকা গ্রাহক নিয়ে গেছেন। একজনের টাকা অন্যজন নেয়ার সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া ২০২১ সালের ১১ আগষ্ট সাময়িক বরখাস্ত হন।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযোগের কপি হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।