
সিংগাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ধর্ষণের অভিযোগে ৩টি পৃথক মামলা হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার
জামির্ত্তা ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের মোঃ পান্নু মিয়ার স্ত্রী লতিফা আক্তারকে (২০)তার দেবর জোরপূর্বক ধষর্ণ করে।
স্বামী প্রবাসে থাকায় মুন্সিনগর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে দেবর হেলাল ফকির দীর্ঘদিন যাবত নানাভাবে উত্যক্ত করিয়া আসিতেছিল। হেলাল ফকিরের ভয়ে বাদী তার বাবার বাড়িতে বসবাস করিয়া আসছিল। গত রবিবার বিকাল ৪ টার দিকে হেলাল ফকির বাবার বাড়ি গিয়া চৌচালা টিনের ঘরের ভিতরে নিয়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে বাড়ীর লোকজন ঘরের দরজার ভাঙ্গিয়া তাকে উদ্ধার করেন। হেলাল ফকিরকে আটক করে পুলিশদ্বয়।
অপরদিকে,উপজেলার পৌর এলাকার আঙ্গাঁরিয়া মহল্লার আবাসনের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি আফরোজা(১৪) গত ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাত ১০ ঘটিকার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বের হয়। এ সময় প্রতিবেশী শহীদের ছেলে আলামিন (২২) আফরোজাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এদিকে,উপজেলার পৌর এলাকার গোবিন্দল গ্রামের আলামিনের স্ত্রী আছিয়া আক্তারকে (২৮) বিয়ের প্রলোভনে উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের মানিকদহ গ্রামের হাছেন বিশ্বাস ছেলে দুলাল বিশ্বাস (৩০) ধর্ষণ করে।ট্রাক ড্রাইভার দুলাল বিশ্বাস আছিয়ার বাড়ীতে বিভিন্ন অজুহাতে আসা-যাওয়া করিত। গত ২৬ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মো.দুলাল বিশ্বাস আলামিনের ঘরে সুকৌশলে প্রবেশ করে আছিয়ার দুলাল বিশ্বাস বাদীকে বিবাহের প্রলোভনে ফুসলাইয়া উক্ত ঘরের খাটের উপরে বাদীকে ধর্ষণ করে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।এ অভিযোগে রবিবার রাতে থানা পুলিশ অভিযুক্ত দুলাল বিশ্বাস কে আটক করেন।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা বলেন-পৃথক
ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে। ২ জন আটক হয়েছে। আটককৃত আসামীদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।