সিংগাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি:

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের আয়-ব্যয় হিসাব গরিমুসির অভিযোগ ওঠেছে মজজিদের সেক্রেটারি হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে। এমনকি কমিটির মেয়াদ ৩ বছর থাকলেও তিনি ৮ বছর যাবৎ একই পদে বহাল থাকারও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা গনস্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর ১টি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার কাশিমপুর কবরস্থান সংলগ্ন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিগত ১৪ মার্চ ২০১৫ইং হুমায়ূন কবির খান তাহার ইচ্চামত লোকজন নিয়ে কমিটি গঠন করেন। ঐ কমিটিতে তিনি সেক্রেটারি পদ নেন। এরপর থেকে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় অনুদান সংগ্রহ করে নতুনভাবে মসজিদের নির্মান কাজ করেন।

মসজিদের সভাপতি অনুদানের টাকা ও নির্মান কাজের ব্যয় হিসাব চাইলে তিনি গরিমুসিসহ কালক্ষেপন করেন। এমনকি কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীন হওয়ার কথা বললে তাহার লোকজন নিয়ে ঝগড়াঝাঁটিসহ নানা হুমকি দামকি দিয়ে থাকেন। এতে মসজিদ পরিচালনা করতে ব্যাঘাত ঘটছে। তাই মসজিদের সকল আয় ব্যয়ের অর্থ ভাউচারের মাধ্যমে সঠিক হিসাবও নতুন কমিটি গঠনে জোরদাবি জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিনে শনিবার গিয়ে একাধিক স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়-৮ বছর যাবৎ একই কমিটি চলছে। ঐ মসজিদের সেক্রেটারির কাছে সমস্ত হিসাব রয়েছে। তা চাইলে গরিমুসি করে কালক্ষেপন করছে। অভিযুক্ত হুমায়ূন কবির খানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন-সভাপতি কমিটি ভেঙ্গে দেয়নি তাই এভাবে রয়েছে। হিসেবের খাতা দেখতে চাইলে সে প্রশাসন কে দেখাবে বলে জানান।

সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খান জানান-সেক্রেটারি হুমায়ূন কবির ইচ্চা করে কমিটি ভাঙ্গছে না। এমনকি মসজিদের আয়-ব্যয় হিসাব চাইলে গরিমুসি করেন। তিনি আরোও বলেন- এভাবে চলতে থাকলে মসজিদ পরিচালনা করতে কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই প্রশাসনের মাধ্যমে এটি সুরাহা প্রয়োজন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন-ইসলামিক ফাউন্ডেশনে তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। তারা রিপোর্ট দিলে ঘটনা সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *