প্রতিবেদন,মানিকগঞ্জ
স্বাস্থ্য বিভাগ স্পেশাল ভাবে মানিকগঞ্জের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১হাজার ৭৪ জন
শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার আপাতত পৌর এলাকার সরকারি
এসকে বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই টিকা গ্রহনের সুযোগ পেল। জেলা
সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ লুৎফর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি
আরো জানান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার
কার্যালয়ে এসব শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক আব্দুল
লতিফ, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ লুৎফর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা
জাহান প্রমুখ উপ¯ি’ত ছিলেন।
ওই সব শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করেছেন ৮জন টিকাদান কর্মী। এছাড়া তাদের
সহায়তা করেছেন ১৬জন ভলেন্টিয়ার। সকাল থেকে এসকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা টিকা
গ্রহনের ইউনিক জন্মনিবন্ধণ কার্ড সাথে নিয়ে স্পটে রেজিষ্ট্রেশন করে টিকা
নেয়ার সুযোগ পায়। তবে সোমবার বিকাল পযন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের সুরক্ষা অ্যাপটির
সার্ভার কাজ না করায় কোন শিক্ষা প্রতিষ্টান এখনো রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেনি
বলে নিশ্চিত করেছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ লুৎফর রহমান।
এদিকে এরআগে গত ১৪ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জে কর্নেল
মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের
উপ¯ি’তিতে ১১২শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ লুৎফর রহমান আরো জানান, টিকা দেওয়ার পর
শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাসায় ১৪ দিন অবজারভেশনে রাখা হয়েছিল। তাদের স্বাস্থ্য
বিভাগের কর্মীরা রুটিন করে ওইসব শিক্ষার্থীদের বাসায় মনিটরিং করেছে।
১৪দিনেও টিকা গ্রহনকারী কোন শিক্ষার্থীর কোনধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
হয়নি। টিকা প্রয়োগ শতভাগ সাফল্য হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জে শিক্ষা বিভাগ সার্ভারের জটিলতার
কারনে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারছেন না।।
জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা জানান, সদর উপজেলার একটি শহরের সরকারি বালক
উ”চ বিদ্যালয়,সরকারি এসকে বালিকা বিদ্যালয়,গড়পাড়া জাহিদ মালেক উ”চ
বিদ্যালয় এবং আটিগ্রাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উ”চ
বিদ্যালয়ের ১১২ শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছিল তাদের কেউই
অসুস্থ্য কিংবা পাশ্বর্প্রতিক্রিয়া হয়নি।