জ. ই. আকাশ, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) থেকে :

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের অন্যতম পদ্মা অধ্যুষিত দুর্গম চরাঞ্চল আজিমনগর ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে জালালদি গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষ থেকেই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১ জানুয়ারি (শনিবার) বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের আরব আলীর সমর্থক ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী সামসুদ্দিন সর্দারের ছেলে মোঃ রাজীব আহাম্মেদ সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেনের সমর্থকদের বিরুদ্ধ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং বিল্লাল হোসেনের সমর্থক একই ওয়ার্ডের ফুটবল মার্কা প্রতীকের মান্নান জমাদ্দারের পক্ষে মনসুর চৌকদার বাদী হয়ে ১৫ জনের নামে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং- ০১ ও ০২/ ০১.০১.২০২২ খ্রি.।

এ ব্যাপারে মেম্বার প্রার্থী সামসুদ্দিনের ছেলে মোঃ রাজীব আহাম্মেদ জানান, “আমার বাবার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার সময় পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মান্নান জমাদ্দার ও লতিফ মাতব্বর আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আমার বাবা ও আমার বড় দুই ভাই এবং ফুপা ও ফুফাতো ভাইকে দেশীয় অস্ত্র দা, হাতুরি ও রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। তারা এখন মানিকগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করি।”

অপরদিকে আরেক মামলার বাদী মনসুর চৌকদারকে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, মামলাও রুজু হয়েছে। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়নের জালালদি গ্রামে গঠিত সংঘর্ষে এই ইউনিয়নের সরকার দলীয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ মোঃ বিল্লাল হোসেনের সমর্থক ১০ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোটরসাইকেল প্রতীকের আরব আলীর সমর্থক ৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে বিল্লাল সমর্থকদের ২ জনকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকি ৭ জনকে গুরুতর আহত হওয়ায় মানিকগঞ্জ সদরে পাঠানো হয়। অপর দিকে আরব আলী সমর্থক ৫ জনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনী সহিংসতা এড়াতে গত এক সপ্তাহ ধরে চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নে বিশেষ পুলিশ ক্যাম্প করা হলেও শনিবার থেকে নতুন করে আরও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *