J.I. Akash

জ. ই. আকাশ, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) থেকে :

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের গালা ও বলড়া ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

২ জানুয়ারি (রোববার) ভোররাতে বলড়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন খান কুন্নু ও গালা ইউনিয়নের প্রার্থী রাজিবুল হাসান রাজিবের কালই এবং কামারঘোনা ক্যাম্পে এ অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বিরোধী প্রার্থীর সমর্থকদের দায়ী করেছেন সরকারদলীয় আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীই। তবে দুই ইউনিয়নের অন্যান্য প্রার্থীরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বলড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন খান অভিযোগ করে বলেন, ‘বিরোধী প্রার্থীর লোকজন আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছেন। আমার বিরোধী পক্ষ রাতের আধারে এমনটি করেছে। প্রায় রাত ১টা পর্যন্ত আমার ক্যাম্পে আমার লোকজন ছিল। সকালে লোকজনের কাছ থেকে আমি জানতে পারি আমার ক্যাম্পে আগুন দেয়া হয়েছে। পরে আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখি।

অগ্নি সংযোগের ঘটনায় মোটরসাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ খোরশেদ আলম খান বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। অগ্নিকান্ডের সাথে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির দাবি করছি।

একই ইউনিয়নের আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও প্রাক্তণ চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আইয়ুব আলী জানান, বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কাম্য নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে। তবে বিএনপি পন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারেককে মুঠো ফোনে বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি।

এদিকে গালা ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী রাজিবুল হাসান রাজিব জানান, রাত একটার দিকে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শফিক বিশ্বাস, আনারস প্রতীকের প্রার্থী মিঠু মোল্লা এবং অটো রিকশা প্রতীকের প্রার্থী ছাব্বির হোসেনের সমর্থকরা স্লোগান দিয়ে চলে যায়। এর ঘন্টাখানেক পর আমার দুটো ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়ার কথা জানতে পারি। আমার সন্দেহ শফিক বিশ্বাস, মিঠু মোল্লা ও সাব্বিরের সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিঠু মোল্লা বলেন, আমার জনসমর্থণ বেশি থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা আর ভিত্তিহীন অভিযোগ করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিক বিশ্বাস এবং অটোরিকশা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাব্বির হোসেনের মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও ফোন ধরেননি।

হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ৩টি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ২ প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *