মো.রকিবুল হাসান বিশ্বাস,সিংগাইর(মানিকগঞ্জ)উপজেলা সংবাদদাতা:
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে”জুম্মার”নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে শত্রুতার জেরে ইস্রাফিল(২৫) নামের এক যুবককে পতিপক্ষ আরিফ হোসেন ওরফে শান্ত গংরা ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করে দু,হাত পা ভেঙ্গে ফেলা ও ৩ জনকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। শুক্রবার(১৫ মার্চ) জুম্মার নামাজের পর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাশেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হিছামউদ্দিন কৌশলে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহতরা হলেন-উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাশেরচর গ্রামের হিছামউদ্দিনের ছেলে ইস্রাফিল(২৫),মনির হোসেনের ছেলে শান্ত(২৪), আনোয়ার হোসেনের ছেলে সুমন(২২) ও মৃত.সফিজউদ্দিনের ছেলে হিছামউদ্দিন(৫০)।
পতিপক্ষরা হলেন,একই এলাকার ওহাব আলীর ছেলে আরিফ হোসেন(২২) শরিফ হোসেন(২০),ওহাব আলী(৫০) ও লুৎফর রহমান(৪০)
গুরুতর আহত ইস্রাফিল জানান,আমাদের মহল্লা খাশেরচর কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ পিছন থেকে একই এলাকার ওহাব আলীর ছেলে আরিফ হোসেন ওরফে শান্ত গং আর্তকিত হামলা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেশীয় অস্র-সস্র দিয়ে আমার হাত পাঁ ভেঙ্গে দেয়। এমনকি ওদের বাড়ির ঘরে আমাকে আটককে রেখে নির্যাতন চালায়। এসময় আমার বাবা এগিয়ে আসলে তাকেসহ আরো ২ জনকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পরে আমার বাবা কৌশলে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে উদ্ধার করেন। পরে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে গেলে এক্স-রে রিপোর্ট আমার হাত পাঁ ভেঙ্গে দেয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এদিকে,পতিপক্ষ আরিফ হোসেন ওরফে শান্ত গং মারামারির ঘটনায় ইস্রাফিল গংদের আটক রাখার কথা স্বীকার করলেও মারধরে ঘটনা অস্বীকার করে বলেন,জুম্মার নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় ওরা আমাদের মারধর করেছে। আমরা ২ ভাই হাসপাতালে ভর্তি আছি। সরেজমিনে পতিপক্ষ আরিফ গংদের হাসপাতালে দেখা গেলেও শরীরে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.জিয়ারুল ইসলাম বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এজাহার দিলেই মামলা নেয়া হবে।