
নিউজ ডেস্ক,২০ মার্চ
পুলিশকে জড়িয়ে মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তাহা সম্পন্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। বাংলাদেশ পুলিশ উক্ত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীব্রনিন্দা জ্ঞাপন করছে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে হেয় প্রতিপন্ন ও বাহিনীর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেন।
প্রকৃতপক্ষে সত্য ঘটনা এই যে, গত ১৬ মার্চ বিকাল অনুমান ১৭.২০ ঘটিকার সময় ফজলুল করিম শামীম মানিকগঞ্জ থানাধীন পৌরসভাস্থ স্বর্নকারপট্টি দিক হতে রিকশাযোগে পশ্চিম দাশড়া সাকিনস্থ অগ্রনী ব্যাংক মোড়ে আসলে উক্ত স্থানে কর্মরত ট্রাফিক কনস্টেবল শাহিন আলম ফজলুল করিম শামীমকে রিকশা থামানোর জন্য সংকেত দিলে সে রিকশা না থাকিয়ে ওয়ানওয়ে রোডে উল্টো পথে কালিবাড়ীর দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে ট্রাফিক কনস্টেবল শাহিন রিকসাটিকে অগ্রনী ব্যাংক মোড়ে থামায়। রিকসার যাত্রী ফজলুল করিম শামীমকে বলা হয় এটি একটি ওয়ানওয়ে রোড উল্টো পথে যাওয়া যাবে না। উল্টো পথে রিকসা না যাওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করলে সে ট্রাফিক কনস্টেবলের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বলে যে তুই আমাকে চিনিস, তুই কার রিকসা থামাইছোস। আমি হলাম মানিকগঞ্জ জেলার যুবদলের আহবায়ক তুই কি জানোস ? তোর চাকরী আমি খেয়ে ফেলবো এই বলে কনস্টেবলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন কনস্টেবল তাকে গালিগালাজ না করার জন্য নিষেধ করিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে রিকশা থেকে নেমে উক্ত কনস্টেবলকে সরকারী কাজে বাধাদান করতঃ তাহার পরিহিত ইউনিফর্মের কলার ধরে আক্রমন করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি মেরে সাধারন জখম করে। তখন পাশর্^বর্তী দোকানদার সহ সেখানে উপস্থিত অনেক পথচারী উল্লেখিত ঘটনার বিষয়টি দেখে উক্ত ব্যাক্তিকে নিবৃত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং তাদেরকেও শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করে, বিধায় জনগণ ফজলুল করিম শামীমকে আটক করে রাখেন। উক্ত বিষয়টি কনস্টেবল তাৎক্ষনিক মানিকগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সার্জেট আলী আকবরকে জানালে তিনি দ্রæত সার্জেন্ট কে এম রফিকুল ইসলাম ও অন্যান্য ফোর্সদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। উল্লেখিত ব্যক্তি তখন সার্জেন্ট আলী আকবর ও সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম দ্বয়ের সহিত তর্কে লিপ্ত হয় এবং তাদেরকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং সার্জেন্ট রফিকুল ইসলামকে পাশ্ববর্তী দোকানে সার্টারের ভিতরে নিয়ে যেয়ে আক্রমন করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে উল্লেখিত ঘটনার সংবাদ বেতার বার্তায় শুনিয়া ট্রাফিক বিভাগের টিআই প্রশাসন মোঃ আঃ হামিদ খান ঘটনাস্থলে পৌছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেন এবং উক্ত ব্যাক্তিকে থানার মোবাইল পার্টিকে ডেকে তাদের নিকট হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় আইন ভঙ্গকরা এবং সরকারী কাজে বাধা প্রদানের কারনে উক্ত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।